৭ দফা না মানলে সংবিধান লংগনের দায়ে সরকারের কঠিন বিচার হবে-কামাল হোসেন

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
মানুষের বয়স একটি নিদিষ্ট সীমা পার হয়ে গেলে তার মেধা, মনন, চিন্তাশক্তি সবই নিন্মমুখী হয়। অর্থাৎ পঞ্চেন্দ্রিয়ের সবকটির ক্ষমতা লোভ পেতে থাকে। চিকিৎসা শাস্ত্রের ভায়ায় এটা মানব জাতির একটা স্বাভাবিক পরিবর্তন। এই পরিবর্তনটাকে দোষ দিচ্ছি না। আবার বুড়া বয়সের ভীমরতি ধরার প্রবাদ বাক্য আমরা অনেকেই শুনেছি।
সাম্প্রতিককালে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে ও ঘটতে যাচ্ছে যা উপরের বক্তব্যের যথার্ততা প্রমান করে। ডঃ কামাল হোসেনকে চিনে না বাংলাদেশে এমন কোন সাবালক পাওয়া যাবে না। আবার সবাই জানে কামাল হোসেন এদেশের একজন মস্ত বড় আইনজীবী। বাংলাদেশের সংবিধান তিনিই রচনা করেছিলেন। তাহার নেতৃত্বেই সংবিধান রচনা হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে কারো কোন রকম দ্বিমত নাই।
গতকাল চট্রগ্রামে জাতীয় ঐক্য মঞ্চের জনসভায় কামাল হোসেন সরকারকে তাদের ৭ দফা মেনে নিতে বলেছেন। অন্যথায় সংবিধান লংগনের দ্বায়ে সরকারের কঠিন বিচার করবেন তিনি। ৭ দফা হল নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহনমূলক করতে সরকারের কাছে ঐক্য মঞ্চের কিছু দাবি। সরকার এই দাবিগুলি বিবেচনায় নিয়ে মানতেও পারেন আবার নাও মানতে পারেন। এখানে দাবি মানা না মানার সাথে সংবিধান লংগনের বিষয়টি কিভাবে আসে সংবিধান প্রনেতার মুখে এটা মোটেও বোদগম্য না। বরং কামাল হোসেন যে বলছেন, ৭ দফা দাবি না মানলে সরকারের বিচার করবেন এটাই হল চরম সংবিধান লংগন।
শেষ বয়সে এসে মইনুল হোসেন নারীর সাথে বৎসায় জড়িয়ে জেল খাটছেন। মইনুল হোসেনের এমন আচরন বয়সের কারনেই হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। আবার অনেকে মনে করেন এরা প্রচন্ড জ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও জীবন ধরে এদেশ ও মানুষের সাথে বৈমানী করেছেন। তাই তার প্রায়শ্চিত্যের জন্য উনারা এমন এমন ঘটনাই ঘটাবেন যাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় কিংবা জেল খাটতে হয় বুড়া বয়সে। নিজের অজান্তেই তারা এমনটি ঘটিয়ে যাবেন।
ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন মস্ত বড় ডাক্তার। তিনি রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাও বটে। তিনিও শেষ বয়সে এসে এমন সব উদ্ভট খবর আবিস্কার করলেন যে তিনি সেনাবাহিনীর প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করলেন তাও আবার প্রকাশ্যে টিভি টকশোতে। পরে আবার তার এই মিথ্যা সংবাদের জন্য সেনাবাহিনীর প্রধানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে এই ক্ষমা চাওয়ার মাঝেও ছিল ছল ছাতুরী। অবশেষে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হল। মামলার তদন্ত কাজও এগিয়ে চলেছে, হয়ত তার এই মিথ্যা বক্তব্যের জন্য তাকে জেলও খাটতে হতে পারে। তিনিও হয়ত মহাজ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও জাতির সাথে বৈমানী করেছেন ও জাতিকে নানাভাবে ঠকিয়েছেন। আর জীবদশায় তার প্রায়শ্চিত্যের জন্যই হয়ত উনি এমন কথা বলে মামলা খেয়েছেন। সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কারনে তারও মামলায় সাজা হতে পারে।
ডঃ কামাল হোসেনের বেলায়ও একই বক্তব্য খাটে। সারাজীবন বৈমানী করেছেন, জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, আমিরিকার দালালী করেছেন- এই সবের কারনে বেআইনী কথা বার্তা বলে মামলা খাবেন, জেলে যাবেন নিজের প্রনীত সংবিধান লংগনের দায়ে। অচিরেই হয়ত এমনটি দেখা যেতে পারে বাস্তবে।