পিন্টু-বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদন্ড ও তারেকের যাবজ্জীবন সাঁজা হয়েছে

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
বহুল আলোচিত ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা মামলার রায় প্রকাশ হয়েছে আজ। ঐতিহাসিক এই রায়ে জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সেই সময়ের শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদন্ডের ও তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাব্জজীবন সাঁজা হয়েছে। আজ পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের কাছে ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন।
এই রায়ে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী। এছাড়াও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে ৪১ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাস বিরোধী এক সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়াও সেদিন সেই হামলায় আহত হয়েছিলেন আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতা কর্মী। সেই হামলার মুল টা্র্গেট ছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গুরুতর আহত হলেও সুভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। কিন্ত সেদিন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন গ্রেনেড হামলায় নিহত হন। আর ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফসহ অসংখ্য নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাদের মধ্য অনেকেই গ্রেনেডের স্প্লিন্টার শরীরে নিয়ে দীর্ঘ ভুগান্তির পর মারা গেছেন। আবার অনেকে দুঃসহ যন্ত্রনা নিয়ে পঙ্গুত্ব বরন করে কোনক্রমে বেঁচে আছেন।
পৈচাশিক এই গ্রেনেড হামলা মামলা বহু চড়াই ওৎরাই পেড়িয়ে শুনানী শেষ করে। এই মামলায় ন্যয় বিচার পেতে ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়। অবশেষে আজ আসে ঐতিহাসিকা এই রায়।