মির্জা ফখরুলের নিউইয়র্ক মিশন কি ব্যর্থ হয়েছে?

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কুটনৈতিক মিশনে নিউইয়র্ক সফর করে গিয়েছিলেন। তার এই সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা চলছে। সফর সফল নাকি ব্যর্থ হয়েছে এই নিয়ে সচেতন মহলে নানা রকম হিসাব নিকাশ চলছে।

হঠাৎ করেই বিএনপি মহাসচিব নিউইয়র্ক সফরে যান। সাথে ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিদ আওয়াল। যাবার সময় মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রনে তিনি নিউইয়র্ক সফরে যাচ্ছেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মহাসচিবের সাথে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে তিনি বিশদ আলোচনা করবেন। বিএনপি থেকেও বলা হল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে বৈঠক করতে নিউইয়র্ক গেছেন। পরে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, জাতিসংঘ মহাসচিব তাকে আমন্ত্রন জানান নি। তিনি স্বেচ্ছায় জাতিসংঘে গেছেন। জাতিসংঘের কেউ তাকে আমন্ত্রন জানায়নি।জাতিসংঘ মহাসচিবের আন্ডারে থাকে ১৯ জন আন্ডার সেক্রেটারী জেনারেল। প্রত্যেক আন্ডার সেক্রেটারী জেনারেলের আন্ডারে থাকে বহুসংখ্যক সহকারী মহাসচিব। মিঃ ফখরুল এমনই একজন সহকারী মহাসচিবের সাথে সাক্ষাৎ করে নানা অভিযোগ করে এসেছেন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘের এই সহকারী মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নানা অভিযোগ সচিত্র ও ভিডিওসহ শুনেছেন। কিন্তু মির্জা ফখরুলকে এই বিষয়ে প্রতিকারের কোন আশ্বাস দেননি। মির্জা ফখরুল সহকারী মহাসচিবকে বাংলাদেশ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও নির্বাচনে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য বলেছেন। জবাবে এই সহকারী মহাসচিব জানিয়েছেন, কোন দেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করেন না ও নির্বাচনে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। আর এই বৈঠকটির ও ব্যবস্থা করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের দুটি লবিস্ট কোম্পানী। অনেক টাকা খরচ করে বিএনপি এই লবিস্ট নিয়োগ করেছে। নির্বাচন পর্যন্ত এই লবিস্ট কোম্পানী দুটি বিএনপির পক্ষে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে লবিং করবেন বিএনপির পক্ষে।

৫ দিনের নিউইয়র্ক ও লন্ডন সফর শেষে মির্জা ফখরুল দেশে ফিরে এসেছেন। দেশে ফিরে তিনি অনেকটা চুপচাপই সময় কাটাচ্ছেন। তিনি বলছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রনেই তিনি জাতিসংঘে গেছেন। কিন্তু এ নিয়ে জনমনে ইতিমধ্যই নানা রকম সন্দেহ দেখা দিয়েছে। যদি তিনি মহাসচিবের আমন্ত্রনেই জাতিসংঘে যেতেন তাহলে তো সেই আমন্ত্রন পত্রটি মিডিয়াকে দেখিয়া বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমান করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করছেন না, তাতে আপাতত ধরে নেওয়া যায়, মির্জা ফখরুল সঠিক কথা বলছেন না। এছাড়া ২০১৫ সালে জ্বালাও-পুড়াও চলার সময় বিজেপির সভাপতি অমিত শাহের সাথে খালেদা জিয়ার টেলিফোন আলাপের দাবি করা হয়েছিল বিএনপির পক্ষ থেকে যা পরে মিথ্যা বলে প্রমানিত হয়েছে। ৬ জন কংগ্রেসম্যানের সই জাল করে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল বিএনপির পক্ষ থেকে। তাও জালিয়াতি বলে প্রমানিত হয়েছে। যার ফলে বলা যায়-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতিসংঘ সফর ব্যর্থ হয়েছে ও দল হিসাবে বিএনপির নীতি-নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *