বিএনপির পক্ষ থেকে প্রায়ই বলা হয়ে থাকে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগ ১০টি আসনও পাবে না

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

বিএনপির পক্ষ থেকে প্রায়ই বলা হয় সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগ ১০টি আসনও পাবে না। সাংবাদিক সম্মেলন কিংবা বিভিন্ন সমাবেশে এমনই বক্তব্য দিয়ে আসছেন অনেক দিন থেকেই বিএনপি নেতারা। বিএনপি পন্থী বিভিন্ন মিডিয়াও বিএনপি নেতাদের এহেন বক্তব্য রং তুলি দিয়ে আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তুলার চেষ্ঠা করেন। তবে এদেশের রাজনীতি সচেতন মানুষ এমন চরমপত্রে বিশ্বাস করেন না বলেই মনে হয়।

তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেই আসলেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ১০টির বেশী আসন পাবে না তাহলে ধরে নিতে হবে আওয়ামীলীগের এমনই অধঃপতন হয়েছে যে তারা এদেশের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন হারিয়েছে। এর অর্থ হল আওয়ামীলীগ সরকার গত দশ বছরে যে উন্নয়ন করেছে তা জনগন প্রত্যাখ্যন করেছে।

ভারতের সাথে সীমান্ত বিজয়, সমূদ্রসীমা বিজয়, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, যানঝট নিরসনে ঢাকা শহর ও চট্রগ্রামে মাইলের পর মাইল ফ্লাইওভার নির্মাণ করা, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ককে ৪ লেন করা, ঢাকা-ময়মনসিং মহাসড়ককে ৪ লেনে উন্নীত করা, ঢাকা-চট্রগ্রাম রেললাইনকে ডাবল লাইনে উন্নীত করা- এসব কাজ হয়ত জনগন গ্রহন করেনি ইতিবাচকভাবে। ৩০০ ডলার থেকে মাথা পিছু আয় ১৬৫০ ডলারে উন্নীত করা, শিক্ষার হার বেড়ে ৭০% হওয়া, মানুষের গড় আয়ু ৫৮ থেকে ধাপে ধাপে বেড়ে ৭২.৮ বছর হওয়া, বৈদেশিক মুদ্রার সর্বোচ্চ রিজাব- এই সব হয়ত মানুষ চায় না।

কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করে বেকারত্ব কমিয়ে আনা, রেকর্ড পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, সারা বাংলাদেশকে ডিজিটাল নেটওয়ার্কে নিয়ে আসা, দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের বিচার করা- এসব হয়ত মানুষ চায় না। দশ লক্ষ রোহিঙ্গাকে মানবতার খাতিরে আশ্রয় দেওয়া, জাতিসংঘ কর্তৃক শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রসংশা করা, হাসিনার গ্লোভাল উইমেন লিডারশীপ এওয়ার্ড পাওয়া, হাসিনাকে মাদার অফ হিউমেনেটি খেতাব দেওয়া এসব হয়তবা এদেশের মানুষ পছন্দ করেনা। ৩৫০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থেকে এখন ২০০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হয়তো মানুষ পছন্দ করে না। বিদ্যুতের আসা যাওয়াটা এখন ইতিহাস হয়ে গেছে বলে মানুষ আওয়ামীলীগ সরকারকে হয়ত আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

অপরদিকে গত দশ বছরে বিএনপির কর্মকান্ডে জনগন বেজাই খুশি। ৯ম সংসদে বেগম খালেদা জিয়া সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী হওয়া সত্ত্বেও ৫ বছরে মাত্র ৭দিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন, এটাকে হয়ত জনগন ধারুনভাবে সমর্থন করেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি জোট ১৩/১৪ সালে সারা দেশে নির্বাচন প্রতিহতের নামে যে তান্ডব চালিয়েছে তা হয়তবা জনগন ধারুনভাবে গ্রহন করেছে। নির্বাচন বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালে সারা দেশব্যপী পেট্রল বোমা হামলা চালিয়ে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হতাহত করেছিল তা জনগন ধারুনভাবে সমর্থন করেছে। আর এসবের ফলেই বিএনপির জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ১০টির বেশী আসন পাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *