বিআরটিএ হলো দুর্নীতির আখরা, কেনো তারা ধরা ছুয়ার বাইরে
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃংঙ্খলা আনায়ন, সুষ্ঠ সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও সড়কের নিরাপত্তা বিধান কল্পে বিআরটিএ বা বাংলাদেশ রুট ট্রান্সপোর্ট অ্যাথরিটি গঠন করা হয়। মোটরযান নিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন, ফিটনেস ইস্যু ও নবায়ন, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়ন প্রভৃতি সেবা দেওয়া হয় এই বিআরটিএতে।
বিআরটিএ এর দুর্নীতি সেবা গ্রহনকারীসহ সকল স্তরের মানুষের কাছে একটা ওপেন সিক্রেট বিষয়। তা হলে এই দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানটি্র দুর্নীতি নিয়ে তেমন কথা হচ্ছে না কেনো মিডিয়াতে। অধিকন্তু আমরা দেখি বিআরটিএ এর একজন ইঞ্জিনিয়ার সম্প্রতি টকশোতে এসে এমন ভাব ধরেন যেনো বিআরটিএ এর স্টাফরা কোন দুর্নীতি করে না, এটি একটি সেবাদানকারী আদর্শ প্রতিষ্ঠান। আসলেই কি তাই?
পরীক্ষা দিয়ে পাস করলেও উৎকোচ না দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্স মিলে না বিআরটিএ থেকে। আবার উৎকোচ দিলে পরীক্ষা পাস না করেও অনেকে লাইসেন্স পান। ফিট গাড়ীকেও আনফিট দেখান বিআরটিএ এর লোকজন পয়সা না দিলে। আবার আনফিট গাড়ীকেও ফিট দেখান পয়সা দিলে। দালাল ছাড়া বিআরটিএতে কোন কাজ হয় না। বিআরটিএ এর এই অনিয়ম ও দুর্নীতি ভুক্তভোগী সকলেরই জানা।
অনেক যোগ্য ড্রাইভারও বিআরটিএতে যেতে অনিহা প্রকাশ করেন। কারন লাইসেন্স নিতে উৎকোচ বাবৎ ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়। এতো টাকা যোগার করতে না পেরে অনেকে দুই নম্বর লাইসেন্স দিয়ে গাড়ী চালান। এই প্রতিষ্ঠানটি যথাযথভাবে কাজ করছে না বলেই আজ সড়কের এই অবস্থা। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে আজকাল বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টকশোতে জামাই আদর করা হয়। তবে কোন কিছুর বিনিময়ে এদেরকে টকশোতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে সচেতন মহল মনে করছে। সড়কে এই দুরাবস্থার জন্য প্রধানত বিআরটিএ ই দায়ী। তাই বিআরটিএতে শুদ্ধি অভিযান একান্ত প্রয়োজন।