মহাখালীতে ছাত্রদের অবরোধে দেখা গেছে বয়স্ক ও অছাত্রদেরকেও

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
পঞ্চম দিনের মত দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে অবরোধসহ নানা কর্মসূচী চলছে। এতে সাধারন মানুষের দুর্ভোগ সীমাহীন হয়ে পড়েছে। আর আজকের এই অবরোধে অনেক অছাত্র ও বয়স্ক লোকজনকেও দেখা গেছে পিকেটিং করতে। অতি উৎসাহী কিছু মানুষ ছাত্রদেরকে প্রক্সি দিতেও দেখা গেছে। ছাত্রদের এই আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে নানা রকম প্রচেষ্টা চলছে বিভিন্ন মহল থেকে।
মহাখালি ফ্রাইওভারের কাছে বাসসহ রাজধানীতে চলাচলকারী সকল যানবাহন আটকে দেওয়া হয়েছে। ছোট ছোট ছেলেদেরকে মটর সাইকেল, সিএনজি, প্রাইভেট কারসহ অন্যান্য যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করতে দেখা গেছে। ছবি উঠাতে গেলে এক সাংবাদিককেও নাজেহাল করেছে তারা। মোবাইল কেড়ে নিয়ে মুছে দিয়েছে সেই ছবি। আবার সেই সাংবাদিকের ভিডিও করে স্যুশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকিও দিয়েছে ১২/১৩ বছরের কয়েকজন বালক।
এই অবরোধের কারনে সাধারন মানুষ পড়েছে বিপদে। পায়ে হেটে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে। অনেকের সাথে আবার ভারী লাগেজও আছে। সব মিলিয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। রাজধানীর মহাখালী, নাবিস্কো মোড়, মৌচাক, মালিবাগসহ অনেক স্থানে বেরিকেট দিয়ে যানবাহন আটকে দিয়েছে তারা। বাস চাপায় দুই ছাত্র হত্যায় জরিত বাস চালক, হেল্পার ও বাসের মালিককে পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছ। রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ঘাতক ড্রাইভারকে। সরকারের পক্ষ থেকে সুবিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত প্রচলিত দীর্ঘ দিনের আইনটিও পরিবর্তন করে যোগোপযোগী করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারের মন্ত্রীরা এই বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছন। ছাত্রদের সকল দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।
নৌমন্ত্রীর সরল বক্তব্যকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে উস্কে দেওয়া হচ্ছে সারা জাতিকে। নোমন্ত্রী নিজে নিহত ছাত্রী দিয়া খানম মিমের বাসায় গিয়ে পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তার বক্তব্যের জন্য। এমনকি তিনি দিয়ার বাবার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। আজ আবার প্রধানমন্ত্রী দিয়ার বাবা ও আব্দুল করিমের পরিবারের সদস্যদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন ও নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকার সমমূল্যের বন্ড দিয়েছেন। এর পরেও কি আর এই আন্দোলনের যুক্তিকতা আছে? থাকতে পারে? উত্তর সহজ, পারে। কারন তাতে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। সরকার পতনের রাজনীতি!