বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রাজধানীতে অরাজকতা চলছে

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্যকর অবস্থা তৈরী হয়েছে। রবিবার বিমান বন্দর সড়কে জাবালে নুর পরিবহনের বাস চাপায় রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পরই রমিজ উদ্দিন কলেজের ছাত্ররা তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ হিসাবে বিমান বন্দর সড়কে বিক্ষোভ করে ঘাতক বাস ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি জানিয়েছিল। গতকাল একই দাবিতে রমিজ উদ্দিন কলেজের ছাত্ররা আবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। এরই মাঝে ঘাতক বাসের ড্রাইভার ও হেল্পারকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছ। সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু আজ সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে আবার একই দাবিতে নৈরাজ্য চলতে থাকলে অচল হয়ে পড়ে ২ কোটি লোকের এই শহর। বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলের ছাত্ররা ফার্মগেট, উত্তরা হাউজ বিল্ডিং, রামপুরা, কাকরাইল ও বাড্ডাসহ নানা স্থানে রাস্তায় জমায়েত হয়ে শতাধিক গাড়ি ভাংচুর করে ও বেশ কয়েকটি গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ আটকা পড়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে এই নৈরাজ্যের কারনে। আজ ১২টার পর থেকে রাজধানীর জীবন যাত্রা থেমে যায়। কাজে যারা ঢাকার বাহির থেকে ঢাকা আসছিল তারা পরে বিপদে। ঢাকার ভিতরের লোকজনও ঢাকার বাহিরে যেতে পারছিলনা এই অবরোধ নৈরাজ্যের কারনে।

তাই ঘাতক বাস ড্রাইভার ও হেল্পার গ্রেপ্তার হওয়ার পরও আজকের এই আন্দোলন নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন উঠেছে। যে বাসগুলি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তার মালিক ড্রাইভার না, যে বাসগুলি ভাংচুর করা হয়েছে তার মালিক কোন শ্রমিক না। যারা বাসগুলির মালিক তাদের ছেলেমেয়েরা কলেজে কিংবা স্কুলে অথবা ভার্সিটিতে পড়ে। আবার এই সমস্ত বাস দিয়েই সাধারন মানুষ যাতায়ত করে। ছাত্ররাও তো এই বাস দিয়েই যাতায়াত করে। আমরা কি বাস ছাড়া যাতায়ত করতে পারবো? তাহলে কেনো শতাধিক বাস ভাংচুর করা হল, কেনো এতোগুলি গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হল? কেনো এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরী করা হল? ছাত্রদের নামে কারা এই তান্ডব চালিয়েছে? কাদের ইন্দনে এইসব নৈরাজ্য হচ্ছে? কারা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গুলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে? আসুন এই প্রশ্নগুলির উত্তর খোজি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *