বোরকা পড়ে ছাত্রী নিবাসে ঢুকে ধর্ষনের দায়ে রংপুরে ২ জনের যাবজ্জীবন
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
রংপুরে বেসরকারী একটি ছাত্রী নিবাসে বোরকা পড়ে ঢুকে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দুইজনের যাবজ্জীবন জেল হয়েছে। রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাবিদ হোসাইন বৃহস্পতিবার আট বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া আদালত উভয় আসামীকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে। অনাদায়ে এদেরকে আরো ৬ মাস জেল খাটতে হবে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন মিঠাপুকুর উপজেলার হারুন অর রশিদের ছেলে তাসকির হোসেন (২৮) ও তার সহযোগী একই উপজেলার গড়েরপাড় এলাকার দুলালী আখতার (২৮)। এই রায় ঘোষণার সময় উভয়েই উপস্থিত ছিলেন। মামলার বিবরন থেকে জানা যায়, রংপুর শহরে সাকিব টাওয়ার নামে একটি বেসরকারী ছাত্রী নিবাসে থেকে রংপুর সরকারী কলেজে বাংলা অনার্স ৩য় বর্ষে পড়তেন দুলালী আখতার। দুলালী আখতার নিজের জন্মদি্ন পালনের কথা বলে তার বান্ধবীকে(ভিকটিম) ডেকে আনেন ২০১০ সালের একুশে ডিসেম্বর। ওই সময় উক্ত বান্ধবী কারমাইকেল কলেজে বাংলা ৩য় বর্ষে পড়তেন।
ওই সময় শীতকালীন ছুটি থাকায় দুলালী ছাড়া ছাত্রীনিবাসে আর কেউ ছিল না। বান্ধবী আসার কিছুক্ষন পরে দুলালীর বন্ধু কারমাইকেল কলেজের প্রানীবিদ্যা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র তাসকির হোসেন বোরকা পড়ে ছদ্ধবেশ ধারন করে রুমে প্রবেশ করে। এই সময় দুলালী দুজনকে রুমে রেখে বাহির থেকে দরজা আটকিয়ে পাহারা দেয়। তাসকির ভিকটিমের মুখ ওড়না দিয়ে বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও গোপনে এর ভিডিও ধারন করে। এই ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন তাসকির আবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে সে কতোয়ালি থানায় তাসকিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৭ই মার্চ তাসকির ও দুলালীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। এর আগে মামলায় গ্রেপ্তার হলেও আসামীরা জামিনে ছাড়া পান। ৯ই জুলাই মামলার যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আসামীদের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। আজ বিচারক উক্ত মামলার রায় ঘোষনা করেন।