কোটা বিরোধী আন্দোলনকে শাণিত করার চেষ্টা ব্যর্থ
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
অনেকটা হুজুকের বশে কোটা আন্দোলনে অংশ গ্রহন করেছিল ঢাবিসহ সারাদেশের ছাত্রসমাজ ও সরকারী চাকুরী প্রত্যাশীরা। নানা গুজব ও অপপ্রচারে এই আন্দোলন বেশ জমে উঠেছিল। প্রথমে সরকারী চাকুরীতে কোটা ১০% মধ্য নামিয়ে আনতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। শেষে কোন কোটা থাকবে না এই দাবিতে আন্দোলন তীব্র হয়। আর এই আন্দোলনকে অতি অল্প সময়ে তীব্র করতে পিছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এই আন্দোলনে পর্দার অন্তরালে কাজ করেছে মুলতঃ মুক্তিযোদ্ধাদের চরম অসম্মান করা ও ছাত্র সমাজকে উত্তেজিত করে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার কুটকৌশল। চাকুরীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার করাই ছিল অন্যতম লক্ষ্য। তাই কোটা আন্দোলনের বিভিন্ন সমাবেশ ও র্যালিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নানা রকম রঙ্গ করতে দেখা গেছে।
কোটা বিরোধী আন্দোলনে ব্যপকভাবে মেয়েরা অংশ গ্রহন করেছিল। আর এই মেয়েদের মনেই ছিল না কোটা ব্যবস্থায় মেয়েদের জন্য ১০% কোটা বিদ্যমান। আর এই কোটার সুবাদেই আজ অনেক মেয়ে সরকারী চাকুরী করছে। তারপরেও পুরুষের তুলনায় এ সংখ্যা অনেকে অনেক কম। যা হউক পরবর্তী সময়ে ছাত্রীরা বুঝতে পেরেছে তারা নিজেদের পায়েই কুড়াল মারছে। ফলে ধীরে ধীরে কোটা আন্দোলনে মেয়েদের অংশ গ্রহন কমে এসেছে। এখন এই সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায়। সম্প্রতি এই আন্দোলনে অংশ গ্রহন করছে ঢাকার কয়েকটি অখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অল্প কিছু ছাত্র। সাথে গুটি কয়েক ঢাবির ছাত্র। এদের পিঠে সবসময় একটি ব্যগ থাকে। এদের অধিকাংশই বাম রাজনৈতিক ঘরনার। এরা সব সময় ইস্যু খোঁজে বেড়ায়, ঠিক কাক যেভাবে খাদ্য খোঁজে। আর এদের পিছনে ছিল সরকার বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক ছাত্র কিংবা অছাত্ররা কিংবা সাবেক ছাত্ররা। অনেকটা ভারতীয় চলচিত্র মিঃ ইন্ডিয়ার মত। জোগান দেওয়ার কাজ করেছে পিছন থেকে সরকার বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। তবে এই আন্দোলনকে গনজাগরন মঞ্চের আন্দোলনের মত রূপ দিতে পিছন থেকে অর্থ যোগান দিয়েছে কয়েকটি সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল। কোন একটি বড় বিরোধী দলের একজন শীর্ষ নেতা তার সমমনাদের সাথে আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য কথা বলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অডিও রেকর্ডও বের হয়েছে। এই সমস্ত ঘটনা এখন মোটামুটি সকলেরই জানা।কয়েকটি রাজনৈতিক দল সরকার বিরোধী আন্দোলন জমাতে না পেরে সর্বশক্তি দিয়ে কোটা আন্দোলনকে তীব্র করে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ দিয়ে সরকার পতনের নীল নকশা একেছিল। তাই সপ্তাহ খানেক আগে আবার এই আন্দোলন শুরু করে কোটা প্রথা বাতিল করে প্রজ্ঞাপনের দাবিতে। কিন্তু এতে ছাত্রদের অংশ গ্রহন একেবারেই কম। আর সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনের সাথে এই তথা কথিত কোটা আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেশ কয়েকজন আহত হয়। আর এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও বাম ঘরনার শিক্ষকরা আবার পর্দার আড়াল থেকে নির্দেশ পেয়ে ঢাবির বিভিন্ন স্থানে মানব বন্ধন কিংবা সমাবেশের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ঢাবি শিক্ষকদের পর্যাপ্ত সমর্থন না পেয়ে শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট কলেজ ও ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের জমায়েত করে কোটা আন্দোলনের স্বপক্ষে জনমত ও ছাত্রদেরকে নানাভাবে উস্কানি দেওয়ার চেষ্ঠা করে। কিন্তু তাতে তেমন কোন কাজ হয়নি। আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এই আন্দোলনের আপাততঃ যবনিকা ঘটেছে। কোটা আন্দোলনকে তীব্র করে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সমস্ত চেষ্ঠা ব্যর্থ হয়ে গেছে।