ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অশান্ত করার চক্রান্ত প্রতিহত করছে সাধারন ছাত্রদের একটি গ্রুপ

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অশান্ত পরিবেশ তৈরীর চেষ্ঠা করছে সাধারন ছাত্রদের সাথে মিশে যাওয়া ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কর্মী সমর্থকরা। আর তা আচ করতে পেরে সাধারন ছাত্রদের আরেকটি গ্রুপ এই চক্রান্ত প্রতিহত করছে। আর এই আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে সরকার বিরোধী কয়েকটি দল পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। এর পিছনে বিনিয়োগ করেছে মোটা অংকের অর্থ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা প্রচুর টাকা পেয়েছেন এই আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে। ফলে তারা হামলার ভয় থাকা সত্ত্বেও আন্দোলন থেকে সরে যাচ্ছেন না। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পিছনে মূল টার্গেট হল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোঠা। মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার এই বিশেষ সুবিদা থেকে বঞ্চিত করাই হল এই তথাকথিত কোটা আন্দোলনের মূল লক্ষ। তাহলেই স্বাধীনতা বিরোধীরা সফল হবে।

প্রথমদিকে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে অরাজনৈতিক মনে করে সাধারন ছাত্ররা এতে সমর্থন দিয়েছিল। পরে এটা আসলে সরকার পতনের একটি কুটকৌশল বুঝতে পেরে সাধারন ছাত্ররা এ থেকে সরে গেছে। শনিবার কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা ঢাবি লাইব্রেরীর সামনে সাংবাদিক সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে অপর একটি গ্রুপ এদেরকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। এই সময় কয়েকজন আহত হয়। এর প্রতিবাদে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা সারাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল কলেজে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের লাগাতার কর্মসূচী দেয়। কিন্তু এই কর্মসূচী দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে পালিত হয়নি কিংবা পালন করতে পারেনি। যার ফলশ্রুতিতে গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কর্মসূচী পালন করতে যেয়ে অপর একটি গ্রুপের ধাওয়া খেয়ে আন্দোলনকারীরা পালিয়ে যায়। আজ রাজধানীর কেন্দ্রীয় সহীদ মিনারে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী নামধারী কয়েকজন জমায়েত হলে সাধারন ছাত্রদের একটি গ্রুপ এদেরকে তারিয়ে দেয়। এই ষড়যন্ত্রকারীরা মনে করেছিল সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তাদের এই ডাকে সারা দিবে। কিন্তু বাস্তবে সারা মিলেনি। তাই এই আন্দোলনের পিছনে থেকে যারা কলকাঠি নেড়েছেন তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

তবে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের কাজ চলছে নিজস্ব গতিতে। সংসদীয় কমিটি চাকুরীতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ ও অবসরের সময়সীমা ৬৫ বসর করার সুপারিশ করেছে। যা আন্দোলনকারীদের একটি দাবি ছিল। বিদ্ধমান কোটা পদ্ধতিতে অনেকগুলি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকায় ও কিছু জটিল বিষয় থাকায় সংস্কার পদ্ধতিটি ধীর গতিতে এগুচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *