ভেস্তে যাওয়ার পথে ট্রাম্প-কিম শান্তি আলোচনা
অনলাইন ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
৬৫ বছরের চরম বৈরিতা কাটিয়ে দুই কোরিয়ার মধ্য আবার শান্তির বাতাস বইছিল উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও দক্ষিন কোরিয়ার নেতা মুন জে ইন এর মধ্যকার বৈঠকের মধ্য দিয়ে। গত ২৭ এপ্রিল দুই দেশের সীমান্তের ডিমিলিটারাইজড জোনের পিস হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। আর ঐ বৈঠকেই দক্ষিন কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার নেতাকে ট্রাম্পের সাথে শীর্ষ বৈঠকে বসার জন্য রাজি করিয়েছিলেন।
আর সেই অনুযায়ী কিম-ট্রাম্প বৈঠকের স্থান ও ক্ষন ঠিক হয়। আগামী ১২ই জুন সিঙ্গাপুরে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সাথে আমেরিকা ও দক্ষিন কোরিয়ার বৈরী সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু হয়েছিল এই বৈঠকের স্থান ও ক্ষন ঘোষনার মধ্য দিয়ে। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে শান্তির বাতাস বইছিল। ইতিমধ্যই কিম ঘোষনা দিয়েছে আগামী ২৩-২৫শে মে এর মধ্য তার দেশের একটি পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র ধ্বংস করে দেওয়া হবে। কিমের হঠাৎ এমন ঘোষনায় বিশ্ববাসী বেশ অবাক হয়েছে। হঠাৎ করে কিমের এভাবে বদলে যাওয়াকে অনেকেই স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। এর পরেও বিশ্ব আশাবাদী হয়, কিম-ট্রাম্প বৈঠক বিশ্ব শান্তির জন্য ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসবে।
কিন্ত এই আশা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তবে তা উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের কারনে নয়। দক্ষিন কোরিয়া ও আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়ার কারনে। উত্তর কোরিয়ার অভিযোগ, যখন তিন দেশের মধ্যে সম্পর্ক ঠিকঠাক পথে এগোচ্ছিল, তখন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এয়ার কমব্যাট যৌথ সামরিক মহড়া করে আসলে উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দিতে চাইছে আমেরিকা। ১৪ই মে থেকে এই সামরিক মহরা শুরু হয়েছে, চলবে ২৫শে মে পর্যন্ত। এই মহড়ার কারনে বেজাই চটেছেন উওর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ইতিমধ্যেই সিওলের সঙ্গে সব রকমের প্রশাসনিক কথাবার্তা বন্ধের ঘোষণা করেছে পিয়ংইয়ং। এর কারনে উত্তর ও দক্ষিন কোরিয়ার মধ্য যে বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল তা বাতিল করে দিয়েছেন কিম। ফলে ১২ই জুনের কিম-ট্রাম্প বৈঠক হুমকির মুখে পড়েছে। এর ফলে বৈঠকটি এখন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।