তারেক রহমানের পাসপোর্ট সারেন্ডার ও নাগরিকত্ব নিয়ে বিএনপির অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
গত শনিবার লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছিলেন, তারেক জিয়া তার বাংলাদেশী পাসপোর্ট সারেন্ডার করে যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। এই জন্য তারেক জিয়া এখন আর বাংলাদেশের নাগরিক না। তিনি কি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন, তিনি প্রশ্ন রাখেন।
শাহরিয়ার আলমের এই বক্তব্য নিয়ে স্যুশাল মিডিয়াসহ সর্বত্র ব্যপক আলোচনা শুরু হয়। তারেক জিয়া তার আইনজীবী ব্যারিষ্টার কায়সার কামালের মাধ্যমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠান। প্রতিমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করার জন্য ১০ দিনের সময় বেধে দেন। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন তারেক জিয়া তার পাসপোর্ট সারেন্ডার করেন নি। তিনি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে উদেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘তারেক জিয়া পাসপোর্ট সারেন্ডার করে থাকলে প্রমান দেখান’।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তারেক জিয়ার পাসপোর্টের কপি ও সারেন্ডারের অন্যান্য নতি দেখিয়ে প্রমান দেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সারেন্ডারে বিষয়টি এড়িয়ে যান। শাহরিয়ার আলম প্রমান দেখানোর পর শুরু করেন চিঠির ফটোকপির মধ্য ভুলত্রুতি নিয়ে সমালোচনা। তিনি চিঠিটি ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তরের না বলে যুক্তি দেখান। গতকাল মির্জা ফখরুল পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে আবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, তারেক জিয়া ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের জন্য তার পাসপোর্ট যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তরে জমা দিয়েছেন। তা হলে কেন এই কয় দিন বিষয়টি মিথ্যা ও গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন? হয়ত বিএনপি তারেক জিয়ার যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিল। গোপন করার প্রচেষ্টার মধ্য বুঝা যায় হয়ত এর মধ্য ভীষন জুকিপূর্ন কিছু ব্যপার আছে। আর সেটি সম্ভবত তারেক জিয়ার বাংলাদেশী নাগরিকত্ব। তাহলে বিএনপি জানতো বাংলাদেশের কেউ যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিলে তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আর থাকে না। আর এই জন্য তারা বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিল।
গতকাল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে একটা দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে হলে তার মূল দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়’। এই বিষয়ে নানান রকমের আইনী মতবেদ রয়েছে। এখন শুরু হয়েছে এই নিয়ে আইনগত বিতর্ক। বিষয়টা শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত যাবে।