মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটার বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে সমালোচনা বন্ধ করুন
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
ইদানিং কোটা সংস্কারের পক্ষের মানুষ বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা নিয়ে নানা রকমের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। টিভি টকশো কিংবা পত্রিকার পাতা খুললেই এই ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য গোচরে আসে। এই সমস্ত মিডিয়ায় সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রায়শই বলে থাকেন-মাত্র দুই লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার জন্য ৩০% কোটা। এটা মানা যায় না। আর এইটাকে নানা গানিতিক হিসাবে ব্যখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানেরা বিব্রত বোধ করেন।
প্রশ্ন হল এই দুই লক্ষ মানুষই কিন্তু সেদিন জীবন বাজি রেখে, পরিবার পরিজনদের কথা না ভেবে, শুধুমাত্র দেশের কথা ভেবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে আমাদেরকে এই স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিল। সেদিন কিন্তু অনেক যুবক যাদের বয়স ১৫ থেকে ৩০ কিংবা তার ওপরে ছিল তাদের একটি বিরাট অংশ জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে যায়নি। এখন যারা সুশিল সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে টিভি টকশো কিংবা পত্রিকা অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটার বিরুদ্ধে তাদের ৯৫%ই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেননি।
তখন সাড়ে সাত কোটি মানুষ ছিল এই দেশে। দুই লক্ষ বাদ দিলে কিংবা ৫০ লক্ষ বাদ দিলে বাকী ৭ কোটি মানুষ কিন্তু সেদিন যুদ্ধ করেনি। একজন প্রধানমন্ত্রী কোটি কোটি মানুষের মধ্য মাত্র ১ জন। তার সম্মান, মর্যাদা কিংবা অন্যান্য সুযোগ সুবিদা সাধারন মানুষের থেকে অনেক বেশী। কারন তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। এখন কেউ যদি বলে মাত্র একজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য ১০০ জন স্টাফ থাকবে কেন, ২০ বিঘা বাড়ির ওপর তার বাসস্থান থাকবে কেনো, তার এতোগুলি গাড়ী থাকবে কেন। এসব কথা কি যুক্তিযুক্ত মনে হবে? নিশ্চয় না। তাহলে জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের জন্য ৩০% কোটা কেন বেমানান হবে। এরাতো সারা দেশটাই আমাদের উপহার দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রাপ্ত বয়স্করা যারা যেখানে ছিলেন তো হিসাব করে দেখেনতো সেখানকার কতজন কিংবা কত % সেদিন মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন।