ইউএস বাংলার পাইলটের সাথে কন্ট্রোল টাওয়ারের শেষ মুহূতের কথোপোকথন
অনলাইন ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
নেপাল টাইমস ইউএস বাংলা বিমানের দুর্ঘটনার একটি অডিও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে বিমানটি অবতরণ করা নিয়ে শেষ কয়েক মিনিটে ককপিটের সঙ্গে এয়ার কন্ট্রোল টাওয়ারের (এটিসি) বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল।
ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সিইও আসিফ ইমরান জানান, দুর্ঘটনার আগে বিমানের ক্যাপ্টেন ও কাঠমন্ডু এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মধ্যেকার কথোপকথন তারা পেয়েছেন এবং সেটি ইউটিউবেও পাওয়া যাচ্ছে। আর ওই কথোপকথনের বিবরণ তুলে দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নেপাল টাইমস।
সেখানে বলা হয়, এটিসি থেকে পাইলটকে বলা হচ্ছে, আমি আবার বলছি, রানওয়ে ২০ এর দিকে এগোবেন না। পাইলট বলেন, তিনি অপেক্ষা করছেন। এরপর তিনি সেটিকে অবতরণ না করে অপেক্ষা করতে বলেন। কারণ আরেকটি বিমান ওই রানওয়ের দিকে এগিয়ে আসছে। বিমানটি ডানদিকে ঘুরে গেলে এটিসি থেকে জানতে চাওয়া হয়, পাইলট কি রানওয়ে জিরো টুতে (উত্তর প্রান্ত) ল্যান্ড করবেন নাকি রানওয়ে টু জিরোতে (দক্ষিণ প্রান্ত) ল্যান্ড করবেন। ইউএস বাংলার পাইলট জানান, তারা রানওয়ে টু জিরোতে ল্যান্ড করবেন।
তখন তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কি রানওয়ে দেখতে পাচ্ছেন? তিনি জবাব দেন, না। কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে তাকে ডানদিকে ঘুরতে বলা হয়। এরপরই পাইলট জানান, তিনি রানওয়ে দেখতে পাচ্ছেন। এরপর পাইলট বলেন, রানওয়ে জিরো টু-তে অবতরণ করার জন্য তিনি প্রস্তুত। এটিসিও তাকে বলা হয় জিরো টুতে নামার জন্য।
এ সময় প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে একটি সামরিক বিমানকে অপেক্ষায় রাখা হয়েছিল। কন্ট্রোল টাওয়ার জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশের বিমানটিকে টু-জিরোতে নামার চূড়ান্ত অনুমতি দেয়া হয়েছে (একটু আগেই কথা হয়েছে জিরো টুর বিষয়ে)। তারপর ইউএস বাংলার পাইলট জানতে চান, স্যার, আমরা কি অবতরণের অনুমতি পেয়েছি? কিছুক্ষণ নীরবতার পরই কন্ট্রোলের চিৎকার শোনা যায়, আমি আবার বলছি, ঘুরে যান। এরপরই ফায়ার ওয়ানকে ডাকা হয়, যার মানে ততক্ষনে একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। তাই এই দুর্ঘটনার পিছনে নেপালের কন্ট্রোল টাওয়ার কন্ট্রোলারদেরই দায়ী করছে নেপালী নিউজ মিডিয়া।