হলুদ সাংবাদিকতা একটা জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
কিছু কথা না বলে পারছি না। গত পরশুদিন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাম ছাত্র সংগঠনগুলির নেতা কর্মীদের পিটিয়েছে। এই খবর অনেক পত্রিকাতেই এসেছে। বেশ কয়েকটি পত্রিকা এই হামলার ছবিও প্রকাশ করেছে। এর আগে বাম ছাত্রসংগঠনগুলি সাধারন ছাত্রদের ব্যানারে ভিসি অফিসে যে তান্ডব চালিয়েছে সেই ছবির একটিও কিন্তু প্রকাশ করেনি।
রড, হাতুরী আর সাবল দিয়ে ভিসি অফিসের ৩টি গেট ভেঙ্গে ফেলা হল, অথচ তার একটি ছবিও পত্রিকায় প্রকাশ করা হল না। এটা কেমন সাংবাদিকতা! ভিসিকে অবরুদ্ধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলির নেতা কর্মীরা। এটাকে সা্ংবাদিক ভাইরা অশালীন বললেন না। আর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে খ্যাত ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিসিকে উদ্ধার করতে যেয়ে সেখানে আন্দোলনরত বাম ছাত্রদের সাথে ছাত্রলীগের কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, শুধু এটাকে বড় করে দেখছে সাংবাদিক ভাইরা।
বাম ছাত্র সংগঠনগুলি কাধে ব্যাগ ধারনকারী কিছু বহিরাগত নিয়ে অযৌক্তিক কারনে ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে অযৌক্তিক দাবী আদায়ের জন্য। যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই এ্টা তাদের গনতান্ত্রিক অধিকার। তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ছাত্রলীগের ব্যানারে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ভিসিকে উদ্ধার করা কি গনতান্ত্রিক অধিকার নয়?
খবর পরিবেশনে এমনটি মনে হয়েছে, সাংবাদিক ভাইয়েরা সেখানে সারাদিন অপেক্ষা করেছিলেন শুধু ছাত্রলীগ কখন এসে হামলা করে সেই ছবি তুলার জন্য। উনারা বহিরাগত বাম ছাত্ররা যে তান্ডব চালিয়েছিল বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে তার ছবি প্রকাশ করলেন না কেন? উপরন্ত অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে সাংবাদিকরাই বামদের উসকে দিয়েছেন এই ঘটনা ঘটানোর জন্য। সাংবাদিক ভাইদের এমন আচরন জাতি আশা করে না। এতে জাতির কাছে ভুল ম্যাসেজ যায়। জাতি তাতে বিভ্রান্ত হয়। আর হলুদ সাংবাদিকতা একটা জাতিকে ধ্বংস করে দিতে যথেষ্ট।