বাংলাদেশে আইএস, জেএমবি, আলকায়েদা কিংবা হরকাতুল জেহাদ কারা চালায়?

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
আইএস, জেএমবি, আলকায়েদা কিংবা হরকাতুল জেহাদের মত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি কারা চালায়? এদের অর্থেরই বা যোগানদাতা কারা? এসব প্রশ্ন মানুষের মাঝে বেশ কৌতুহল সৃষ্টি করছে। গত কয়েক বছর যাবৎ বাংলাদেশে এই সংগঠনগুলি বেশ সক্রিয় ছিল। সরকারের নজরদারির কারনে এই সংগঠনগুলির সন্ত্রাসী কার্যক্রম জিমিয়ে পড়েছে। আবার অনেকে ধারনা করছেন, এরা গোপনে শক্তি সঞ্চয় করছে। এরা ইসলামকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে সাধারন ধর্মপ্রান মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তাই কিছুকাল পূর্বেও একশ্রেনীর ধর্মান্ধ মানুষ এদের কার্যক্রমকে স্বাগত জানাতো। তবে ইদানিং এই শ্রেনীর মানুষের ভুল ভেঙ্গেছে। তারা বুঝতে পেড়েছে, এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি ইসলামের পক্ষে কাজ করছে না।
ইরাক কিংবা আফগানিস্তানে আমরা দেখেছি, এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে মুসলমানকেই সমানে মেরে যাচ্ছে। ইরাকে হাজার হাজার মুসলমানকে গনহারে খুন করেছে, এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি। মুসলিম সংখ্যা গরিস্ট দেশে এদের অপারেশন চলবে কেন? তাও আবার মুসলমানের বিপক্ষেই। পাকিস্তানে মসজিদের মধ্য বোমা মেরে মানুষ মারবে কেন? এসব প্রশ্ন মুসলমানদের মাঝে ঘোরপাক খাচ্ছে।

ফাইল ফটো
আবার মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চলছে, জাতিগত নিধন চলছে সেখানে। এই সমস্ত সন্ত্রাসী সংগঠনতো মিয়ানমারে দরকার। সেখানেতো মুসলমান নিধন চলছে। তাহলে মিয়ানমারে কেনো একটা পটকাও ফোটলো না। এরা যদি ইসলামের পক্ষের শক্তি হত তাহলে এরা মিয়ানমারে কার্যক্রম চালাতো। মুসলমানদের ওপর হত্যা নির্যাতনের বিরুদ্ধে এরা মিয়ানমারে আত্নঘাতী হামলা চালিয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ভিত কাপিয়ে দিতে পারতো। কিন্ত তা হচ্ছে না কেনো। তাহলে এরা হলি আর্টিসানে হামলা করে এতোগুলি মানুষ খুন করবে কেনো। কেনো বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে আত্নঘাতী হামলা চালিয়ে নিজেও মরবে এবং অন্য নিরিহ মানুষকেও মারবে? আসুন এই প্রশ্নের উত্তর খোজি।

ফাইল ফটো
এদেশে এই সংগঠনগুলির সদস্য কারা ? এরা হল মগজ ধূলাই হওয়া কিছু ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীল মুসলমান। অত্যান্ত উচ্চ লেবেলের মটিভেটর দিয়ে ওদেরকে বিভ্রান্ত করে মগজ ধূলাই করা হয়। এরা তখন সামনে বেহেস্ত ছাড়া আর কিছুই দেখে না। মরলেই বেহেস্তে যাবে। বেহেস্তের হুরের কথা শুনেছে। এবার মরলেই বাস্তবে পাবে। তাই মরতে দ্বি্ধা করেনা ওরা। এই দেশে কিছু অর্থলোভী মানুষ রয়েছে। এরা অর্থের লোভে বিদেশী গোয়েন্দা সস্থার হয়ে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করে। প্রকারন্তরে তারা ইসলামের বিরুদ্ধেই কাজ করে। সারা বিশ্বে ইসলাম বিরুধী বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়াই এদের উদ্দেশ্য। এই শ্রেনীর লোকই বিদেশী টাকায় এই সমস্ত সন্ত্রাসী সংগঠন গড়ে তুলে। আর এর বিনিময়ে কামিয়ে নেয় প্রচুর অর্থ। ইসলামকে শুধু এখানে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। অনেকে মনে করেন ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মুসাদের অর্থায়নে এই সমস্ত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি চলে। অর্থাৎ এই সমস্ত সন্ত্রাসী সংগঠন চলে ইসরায়েলের সুপ্রিম কমান্ডে। আর ইসরায়েল সারা বিশ্বে মুসলমানদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে। এরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও কাজ করে। এরা মুসলমান দিয়ে মুসলমান হত্যা করে।
এই ইসরায়েল বাংলাদেশের আইএস, হরকাতুল জেহাদ কিংবা জেএমবি কিংবা আলকায়েদার নেতৃত্বের হাতে মিয়ানমারে অপারেশনের কোন প্রজেক্ট দেয়নি। তাই সেখানে একটি পটকাও তথাকথিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি ফোটায়নি। তাতে প্রমান হয় এই সমস্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের মুল চালক বিদেশী ইসলাম বিরুধী শক্তি। আবার দেশেও কিছু মৌলবাদী রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এই সমস্ত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে অর্থায়ন ও অন্যান্য সহযোগিতা করে আসছে।