প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে পোপের মিয়ানমার সফর
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
নানা কারনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে খৃষ্টান ধর্মের রোমান ক্যাথলিক শাখার প্রধান ধর্ম গুরু পোপ ফ্রান্সিসের মিয়ানমার সফর। মিয়ানমার সফরে মানবিক বিশ্ব তার কাছে যে ধরনের বক্তব্য আশা করছিল তিনি তা পূরন করতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছেন।
২৫শে অগাস্টের পর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী আর বুদ্ধ সন্ত্রাসীরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালগু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর খুন, ধর্ষনসহ নানা রকম অত্যান্ত পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। ফলে প্রান ও সন্ত্রম বাঁচাতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ অত্যান্ত সাপদসংকুল পথ পেড়িয়ে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে এসে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই পৈশাচিক কর্মকান্ডকে বিশ্ব নেতারা এথনিক ক্লিনজিং বা জাতিগত নিধন বলে আখ্যায়িত করছে। আর এসময়ে শান্তিতে নোবেল জয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সূচি নীরব ভুমিকা পালন করে আসছেন। বিশ্ব নেতারা সূচির এই বিতর্কিত ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মিয়ানমারের এই পৈশাচিক ঘটনাকে জাতিসংঘ জাতিগত নিধন বলে নিন্দা জানিয়েছে। এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা সহ অনেক সংস্থা ও ব্যক্তি এই বর্বরতার নিন্দা জানিয়েছে। অনেক সংস্থা ও দেশ মিয়ানমারের ওপর অবরোধ আরোপের সুপারিশ করেছে।
এমতাবস্থায় পোপের মিয়ানমার সফর অনেক ব্যক্তি, সংস্থা, দেশ কিংবা বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আশান্বিত হয়েছিল। ভেবেছিল পোপ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ করবেন এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চাপ দিবেন। অবশ্য তিনি ইতিপূর্বে মিয়ানমারে জাতিগত নিধন বন্ধ করতে মিয়ানমারকে আহবান জানিয়েছিলেন। কিন্তু মিয়ানমার সফরে এসে তা তিনি বেমালুম ভুলে গেলেন। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তাকে বলা হয়েছিল যেন তিনি রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারন না করন। তিনি তার বক্তিতায় রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারন করলেন না। এমন কি তিনি এই সফরে রোহিঙ্গা নির্যাতনের কোন প্রতিবাদও করলেন না। তাই পোপের এই মিয়ানমার সফর প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে রইল।