রোহিঙ্গা শরনার্থীর সংখ্যা দশ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে-জাতিসংঘ
অনলাইন ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
রোহিঙ্গা শরনার্থীর সংখ্যা দশ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা আশংশ্কা করছেন। এটাই হবে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশ উভয়ের জন্য বড় সমস্যা। প্রায় প্রতিদিনই ১০-২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এ হার অব্যহত থাকলে অল্প দিনের মধ্যই ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিবে। রাখাইনে সর্বমোট রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১১ লক্ষ। ধারনা করা হচ্ছে এক লক্ষ রোহিঙ্গা রাখাইন প্রদেশের বাহিরে মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছে। ফলে রাখাইন স্টেটে আর রোহিঙ্গা মুসলিমরা অবশিষ্ট থাকবে না। ফলে বৌদ্ধরা সেখানে একচেটিয়া বসবাসের সুযোগ পেয়ে যাবে।
অদূর ভবিষ্যততে রোহিঙ্গা মুসলিমরা রাখাইন প্রদেশে ফিরে যাবার সুযোগ পেলেও হয়ত তাদের বাড়ী-ঘর, জায়গা-জমি ফিরে পাবে না। আর মিয়ানমার নেতারাও ঠিক এমনটি চাচ্ছেন। আদিকাল হতে রোহিঙ্গারা রাখাইনে বসবাস করে আসছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার তাদেরকে নাগরিক অধিকার দিচ্ছে না। এর পিছনে কারন হল রোহিঙ্গারা মুসলমান।
এই রোহিঙ্গারা শিক্ষা, চিকিৎসা, জাতীয় পরিচয় সমস্ত কিছু থেকে বঞ্চিত। মিয়ানমারের নেতৃত্বই এদেরকে এমন অবস্থায় রেখেছে। আর এদেরকে পুরাপুরিভাবেই বিতারনের জন্যই হত্যা, ধর্ষন, জালাও-পুড়াও অব্যহত রেখেছে। কোন কোন মিডিয়া ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব মিয়ানমারের এই নীতিকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে অভিহিত করছে। বিশ্ববাসীকে এই আধুনিক যুগে মিয়ানমারের এই বর্বর নীতির বিরুদ্ধে মানবতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে মায়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যা লঘুরা চরম মানবিক বিপর্যয়ে পড়বে। বিশ্ব জুরে ছড়িয়ে পড়বে হানাহানি, যা মানব জাতির জন্য কাম্য না।