ধর্ষনকে হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিচ্ছে মিয়ানমার সেনারা
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
রোহিঙ্গা নাগরিকদের দেশছাড়া করতে ধর্ষণকে হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সেখানকার রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা শরনার্থীরা এমন অভিযোগই করছেন। চলছে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ। হাজার-হাজার নারী শিকার হয়েছে মায়ানমার সেনাদের পৈশাচিক যৌন নির্যাতনের। এমনটাই অভিযোগই পাওয়া যাচ্ছে শরণার্থীদের কাছ থেকে।
প্রানে বেচেঁ আসা একজন মহিলা জানান, তাদের বাড়ীতে একদিন রাতে মায়ানমার বাহিনী হামলা চালিয়ে সকলকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। বাড়ীতে থাকা মহিলাদেরকে ধর্ষন করেছে সেনারা। আর যারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তারা প্রানে বেচেঁ যান। প্রতিদিনই অসংখ্য রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ- শিশুর লাশ ভেসে আসছে নাফ নদীতে। এদেরকে হত্যা-ধর্ষনের পর লাশ নদীতে ফেলে দিচ্ছে মিয়ানমারের সেনা ও সন্ত্রাসীরা।
বাংলাদেশে ২৫ আগস্টের পর যত রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ করেছেন, তাঁদের একটা বড় অংশই নারী ও শিশু। এক শরণার্থী জানান, তাঁরা যখন পালিয়ে আসেন তখন চোখের সামনে একজন মহিলাকে ধর্ষিত হতে দেখেন তিনি। নির্যাতিতার কোলে তাঁর শিশু সন্তান ছিল।
কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় যেসব নারী ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার ভার নিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রশাসন। তাঁরা জানিয়েছেন, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন নিয়ে মুখ খুলছেন না নির্যাতিতারা। তাই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার কাজ আরও কঠিন হয়ে উঠছে।
জনমানবশূণ্য হয়ে পড়েছে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশের প্রায় ১৭৬টি গ্রাম। মায়ানমার সেনাদের হত্যা-ধর্ষনের জেরে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গেছে রোহিঙ্গা মুসলমানরা। উল্লেখ্য রাখাইনের তিনটি শহরতলি এলাকায় সর্বমোট ৪৭১টি গ্রাম রয়েছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২৫শে আগস্টের পরে মায়ানমার থেকে তিন লক্ষ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা জীবন বাচাঁতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।