বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের অপহরন, পাচার, মুক্তিপন ও হত্যার দায়ে থাইল্যান্ডের এক জেনারেল দোষী সাবস্ত
অনলাইন ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
থাইল্যান্ডের একজন শীর্ষস্থানীয় সেনাকর্মকর্তাসহ অন্তত চল্লিশ জন অভিযুক্তকে বহু বাংলাদেশী ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানকে পাচার, অপহরণ, হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছে সেদেশের আদালত।
দেশটির ইতিহাসে এটি ছিল বৃহত্তম মানব পাচার বিষয়ক একটি মামলা। আর এই মামলায় একশোরও বেশী মানুষের বিরুদ্ধে পাচার, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৫ সালে থাইল্যান্ডের সমুদ্র তীরবর্তী একটি জঙ্গল থেকে হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়। যাদেরকে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য আটকে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে দেশে বিদেশে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠলে থাই সরকার পাচার চক্রের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাতে বাধ্য হয়। আর সেই সময়ে থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে বহু গণকবরেরও সন্ধান পাওয়া যায়। গনকবরগুলি ছিল মূলত পাচারের শিকার বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের।
বিচারে যারা দোষী সাবস্ত হয়েছেন, তাদের অধিকাংশই থাই নাগরিক। এছাড়া মিয়ানমার ও বাংলাদেশেরও কিছু নাগরিক রয়েছেন এদের মধ্যে। দোষী সাবস্তদের মধ্যে অন্যতম হলেন থাইল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মানাস কংপ্যান। তিনি দোষী সাবস্ত হয়েছেন বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের থাইল্যান্ডে পাচার করার অভিযোগে। আর বাকীদের বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাবস্ত হয়েছেন।