চোরা পথের সন্ধানে মান্না ভাই!

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইয়ের কথা বলছি। নাগরিক ঐক্যের মান্না ভাই-যেখানে ওনার ভুমিকা ছিল ওনার মত সুশিল লোকদের ফুসলিয়ে অথবা পাম্প দিয়ে নামী-দামী বুদ্ধিজীবি বানিয়ে ওনার খায়েশ পুরন করা। এই ভাইয়ের ভাবখানা এমন যে তার থেকে বড় রাজনীতিক, মহাজ্ঞানী, মহাপন্ডিত, সব জান্তা এদেশে আর কেউ নেই। উনিই ওয়ানলী ওয়ান পিছ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলে রাজনীতি গরম করে আওয়ামীলীগকে বেকায়দায় ফেলে ওনার মনোভাসনা পূর্ন করার যে কামনা ছিল সে কারনে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জেল খেটে কয়েক মাস পূর্বে মুক্তি পেয়েছেন।
ইদানিং মহাপন্ডিত এই ভাই আমার নতুন পথের সন্ধানে আছেন। তবে চোরা পথের সন্ধানে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওনারই পরিচালনায় আবার নতুন একটি নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছিল আ স ম আব্দুর রবের উত্তরার বাসায়। বেরশিক পুলিশের কারনে শেষ পর্যন্ত নাটকটি হতে পারে নি। পরে ওনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেখানে নাকি ওনাদের দাওয়াত ছিল। আমার মান্না ভাই দুঃখ করে বলেছিলেন পুলিশ নাকি দাওয়াত খেতেও বাধা দিচ্ছে। কাজেই দেশে গনতন্ত্র নাই। আমার মান্না ভাই দেশবাসীকে বোকা মনে করেন। আ স ম রবের বাড়িতে সেদিন যারা গিয়েছিল তাদের মধ্য ছিলেন মান্না ভাই, সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ আরও কিছু বাম দলের নেতা। সেখানে উপস্থিত ছিল না আওয়ামীলীগ, বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টির কোন প্রতিনিধি। আওয়ামীলীগ, বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টিতে কি রব সাহেবের কোন বন্ধু নাই? তাহলে এটা কেমন দাওয়াত! আসলে এটা দাওয়াত ছিলনা। কোন একটা ষড়যন্ত্র করার জন্য মান্না ভাইসহ অন্যরা সেদিন রবের বাসায় উপস্থিত হয়েছিলেন। অথচ মান্না ভাই এটাকে দাওয়াত বলছেন। দেশবাসী জানে এটা আসলে কি ছিল। মান্না ভাই যেখানে, ষড়যন্ত্র আছে সেখানে।
সেদিন জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মিটিং মান্না ভাই দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে বললেন, বিএনপি-জামাত ও সুশিলসমাজ ফরহাদ মজহারকে নিয়ে কিছু করতে পারলোনা। ভাই আশা করেছিলেন বিএনপি-জামাত কিংবা ওনার সুশিল সমাজ দেশে আবার হরতাল-জালাওপোড়াও আন্দোলন গড়ে তুলবে। আর এর মধ্য দিয়ে ওনারও সুসময় চলে আসবে। সত্যিই মান্না ভাই একজন জিনিয়াস।