কিমের কবল থেকে স্বদেশে ফিরেই মার্কিন ছাত্রের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
উত্তর কোরিয়ায় ১৭ মাসের বন্দিদশা কাটিয়ে সবে দেশে ফিরেছিল ২২ বছর বয়সী মার্কিন ছাত্র ওট্টো ওয়ার্মবিয়েরের। সোমবার বিকেলে ওহায়োর সিনসিনাটির একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। ওট্রোর মা-বাবা বলেছেন, ‘আমাদের ছেলের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ওর বেঁচে থাকার কোনও সম্ভানাই ছিল না।’
২০১৫ সালের শেষের দিকে চীন বেড়াতে গিয়েছিল ওট্টোসহ দশজন। চীন থেকে পরে তারা বেড়াতে উত্তর কোরিয়া যান। পিয়ংইয়ংয়ের ‘ইয়াঙ্গাকদো ইন্টারন্যাশনাল হোটেল’–এ উঠেছিলেন সকলে। শুধুমাত্র কর্মীদের প্রবেশাধিকার আছে, হোটেলের এমন একটি অংশ থেকে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের একটি প্রচারপত্র কুড়িয়ে পায় অট্টো। তাতে ‘আসুন কিম জং উনের দেশপ্রেম তত্ত্বের যঙ্গে যুক্ত হই’ বার্তা লেখা ছিল। সেটি নিজের কাছে রেখে দেয় সে। ব্যাপারটা হোটেলকর্মীদের নজর এড়ায়নি। তারপরই, ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি প্রচারপত্র চুরির অভিযোগে হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী আইনে মামলা দায়ের হয়। জেরায় অপরাধ স্বীকার করে ওট্টো। গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলাকালীন, ভবিষ্যতে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ–এর শাখা সংগঠন ‘জেড সোসাইটি’–র হয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানায় সে। তাতেই নড়েচড়ে বসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিরশত্রু কিম প্রশাসন। ১৫ বছরের কঠোর পরিশ্রমের সাজা হয় তার।
ওট্টোর পরিবারের লোকজন ছেলেকে ফিরে পেতে এ বছর ১৭ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উত্তরকোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্থাপনের জন্য জোরাজুরি শুরু করেন। কুটনৈতিক তৎপরতায় ১২ জুন মুক্তি পায় সে। কিন্তু মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহ আগে ওট্টো কোমায় চলে গিয়েছিল বলে জানা যায়। ১৩ জুন পিয়ংইয়ং থেকে সিনসিনাটি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় ওট্টো। ‘ইউনিভার্সিটি অফ সিনসিনাটি মেডিক্যাল সেন্টার’–এ ভর্তি করা হয় তাকে। তার মাথায় একটি ক্ষতচিহ্ন দেখতে পান চিকিৎসকরা। উত্তর কোরিয়ার অমানুষিক অত্যাচারের জেরেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি চিকিৎসকদের।