আবারও বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে আমেরিকান বিমান নিখোঁজ

অনলাইন ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

আবারও বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে রহস্যজনভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল একটি চার্টার্ড বিমান। আমেরিকার মিয়ামি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিমানটিতে ছিলেন বিমানচালক-সহ মোট চার জন। এদের মধ্যে তিন জন একই পরিবারের সদস্য। জানা যায়, বিমানে ছিলেন মার্কিন ব্যবসায়ী জেনিফার ব্লুমিন ও তাঁর দশ এবং চার বছর বয়সি দুই ছেলে। মিয়ামি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সূত্র থেকে জানা যায়, ১৫ মে সোমবার, স্থানীয় সময় দুপুর ২টো ১০ মিনিট থেকে বিমানটির সঙ্গে কন্ট্রোলরুমের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।  বিমানটির সর্বশেষ অবস্থান ছিল, বাহামা থেকে ৩৭ মাইল পূর্বে, সমুদ্র থেকে ২৪ হাজার ফুট উঁচুতে এবং এটির গতিবেগ ছিল ৩০০ নটিক্যাল মাইল।

বার্মুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করতে পারেননি।। আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় ৪ লক্ষ ৪০ হাজার বর্গ মাইল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বার্মুডা ট্রায়াঙ্গল। অসংখ্য মানুষ, বিমান, জাহাজ এই ত্রিকোণ রহস্যের মধ্যে পড়ে চিরতরে হারিয়ে গেছে। ১৪৯২ সালে স্পেনীয় নাবিক এবং ভূপর্যটক ক্রিস্টোফার কলোম্বাস প্রথম এই বার্মুডা ট্রায়াঙ্গল সম্পর্কে ধারনা দেন। তাঁর জাহাজের কম্পাসও বার্মুডা ট্রায়াঙ্গেলে অকেজো হয়ে যায়। আর সে সময় কোনও ক্রমে উদ্ধার পান তিনি। কেন বার্মুডা ট্রায়াঙ্গেলে এলেই বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয় বিমান বা জাহাজকে?

বিগত একশো বছর ধরে নানা জন নানাভাবে গবেষনা চালিয়েও সঠিক কোন ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত দিতে পারেনি। তবে ২০১৬ সালে বিখ্যাত আবহাওয়াবিদ র‌্যান্ডি কারভ্যানিসহ বেশ কিছু বিজ্ঞানী ব্যাখ্যা দাড় করান এই রহস্যের। তাঁদের মতে, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে রহস্যের পিছনে রয়েছে এক রকম ষড়ভুজাকৃতি মেঘ।  আর এই ষড়ভুজাকৃতির মেঘ উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা দ্বীপে ২০ থেকে ৫৫ মাইল জুড়ে তৈরি করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বায়ু (এয়ার বম্ব)। যার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ মাইল। এই বায়ু প্রায় ৪৫ ফুট উচ্চতার ঝড় তৈরি করতে পারে। যার ফলে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল দিয়ে যাওয়া জাহাজ বা প্লেন নিখোজ হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *