অবশেষে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে
নিউজ ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
অবশেষে শ্রমিক নেতাদের সাথে সমঝোতা হওয়ায় প্রত্যাহার হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট। শ্রমিক নেতারা নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের উপস্থিতিতে সমঝোতা শেষে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে জনজীবনে ফিরে এসেছে স্বস্তি।
উল্লেখ্য মিশুক মনির ও তারেক মাসুদ সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হওয়ার মামলায় কয়েকদিন পূর্বে এক ড্রাইভারের যাবৎ্জীবন সাজা ও সাভারের অন্য আরেকটি ঘটনায় একজন ড্রাইভারকে আদালত কর্তৃক মৃত্যুদন্ড প্রধান করার প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা প্রথমে খুলনা বিভাগে পরিবহন ধর্মঘট শুর করে। খুলনা বিভাগের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় সোমবার দুপুরে। তারপর সোমবার রাত থেকে হঠৎ করে আবার ধর্মঘট শুরু হয় সারাদেশে। মঙ্গলবার রাত থেকে তা ভয়ংকর রুপ নেয়। গাবতলী এলাকায় শ্রমিকরা বেরিকেট দিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ। এ অবস্থায় যাত্রীরা পড়ে চরম ভোগান্তিতে। আজ সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শ্রমিক-পুলিশ ব্যপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বৈশাখী পরিবহনের একজন শ্রমিক মারা যায়। পাশাপাশি শ্রমিক-পুলিশ অনেকে আহত হয়। সকাল এগাড়টা থেকে গাবতলীর সামনের রাস্তার নিয়ন্ত্রন নেয় আইন শৃংঙ্লা রক্ষাকারী বাহিনী।
আবশেষে মতিঝিলে বিআরটিএ ভবনের ৬ তলায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি এনায়েতুল্লাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এ সময় নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘আমরা এই ধর্মঘট ডাকিনি। শ্রমিকরা যে যার কর্মস্থল থেকে নিজেদের মত করে ধর্মঘট পালন করেছে। সমস্যার কথা বিবেচনা করে শ্রমিকদেরকে এই ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।’
ফলে বিকাল থেকে রাজধানীতে সব ধরনের যান চলাচল শুরু হলে জনজীবনে নেমে আসে স্বস্তি।