এক আইএস জংগী ২০০ মহিলাকে ধর্ষন করেছে
অনলাইন ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে ইয়েজিদি ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের ওপর আইএস জঙ্গিদের অত্যাচার ও গণধর্ষনের কথা এখন আর কারো অজানা নয়। আইএস জংগীদের কাছে এসব খুবই সাধারণ ব্যাপার। ওমর হুসাইন নামে এক জংগী বলেন, ” আমি নিজেই ২০০-রও বেশি মহিলাকে ধর্ষণ করেছি। আইএস নেতৃত্বই আমাদের এই কাজের জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল। তারা এটাকে উচিত বলেই মনে করত।” গত বছর অক্টোবরে কিরকুক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তা বাহিনী। এই আইএস জঙ্গি সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।
২০১৩ সাল থেকে গ্রেপতার হওয়ার আগ পর্যন্ত ৫০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ২১ বছরের হুসাইন। সাক্ষাৎকারে সে আরও জানায়, ‘মা্ত্র ১৪ বছর বয়সেই আইএসে যোগ দিয়েছিলাম। মানুষ মারতে প্রথমে একটু অসুবিধা হলেও ধীরে ধীরে সেটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। সাত, আট, নয়, দশ, ত্রিশ… চল্লিশ এভাবেই সংখ্যা বেড়ে চলছিল। প্রথমে মরুভূমিতে নিয়ে যাওয়া হত, তারপর তাঁদের মেরে ফেলা হত। আমিও এভাবেই মরুভূমিতে অনেককে মেরেছি। যাকে ইচ্ছে তাঁকেই মারতাম।’ গোয়েন্দারা জানিয়েছে, প্রথম দিকে হুসেইনকে সামলানো খুব কঠিন ছিল। তার গায়ের জোর এত বেশি ছিল যে প্লাস্টিকের হাতকড়া ভেঙে ফেলত। তবে এখন জেলের চার দেওয়ালে সারাদিন কোরান পড়েই দিন কাটে তার।
হুসেইনের দাবি, সে পরিস্থিতির শিকার। হুসেইনের কথায়, ‘একটা সময় টাকা ছিল না। কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ সেটা বলার মতো কোনও বন্ধু ছিল না। এমনকী, আইএস হঠাতে ইরাকি সেনার আক্রমণে বসবাসের বাড়িটিও ভেঙে যায়।’ এরপরেই সে স্থানীয় মসজিদের ইমামের হাত ধরে আল কায়দায় যোগ দেয়। পরে সেখান থেকেই আইএসে যোগদান। তারপর অক্টোবরে ইরাকি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে জেলের চার দেওয়ালের মাঝে বন্দী।