পদ্মা সেতু দূর্নীতি মামলা ভিত্তিহীন-কানাডার আদালতের রায়

নিউজ ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

কানাডার আদালতে পদ্মা সেতু দূূ্র্নীতি মামলার রায় হয়েছে। রায়ে আদালত বলেছে পদ্মা সেতুতে দূূূুরনীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কোন প্রমাণ মেলেনি। তাই এ মামলায় তিন বিবাদীকে অব্যাহতি দিয়েছেন কানাডার একটি আদালত।

অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী ভূঁইয়া, কানাডার প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস ও প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ।
worldbank1
২০১০-২০১১ সালে এসএনসি-লাভালিনের বিরুদ্ধে পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ তদারকির পাঁচ কোটি ডলারের কাজ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠার পরিপেক্ষিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণ বাতিল করেছিল। আর সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছিল এ প্রকল্পে কোন রকম দূুরনীতি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলার চেষ্টা করেছেন এ প্রকল্পে কোনরুপ দূুরনীতি হয়নি। কারন বিশ্ব ব্যাংক ঐ প্রকল্পে কোন রুপ টাকা না দিয়েই দূুরনীতির অভিযোগ তুলে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারনে এ প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে প্রকল্প থেকে সরে যায়।
Podma bridge
সরকারী দল আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে তাতে ড. ইউনুষের হাত রয়েছে। আমেরিকা্র তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন ইউনুছের বান্ধবী হওয়ার সুবাদে তিনি তদবির করে বিশ্বব্যাংককে এ প্রকল্পে অর্থায়ন না করতে বাধ্য করেছিলেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। তখন বিশ্ব ব্যাংক কিংবা ইউনুছের কিংবা অন্যকোন এজেন্সীর এদেশীয় কিছু দালাল সুশিল সমাজের লেবাসে কিংবা অন্যকোন পরিচয়ে আমাদের সকল ধরনের মিডিয়াতে বিশেষ করে টিভি টকশো গুলাতে নিঃলজ্জ মিথ্যাচার করে, নানা ধরনের কল্প কাহিনী তেরী করে বিশ্ব ব্যাংককে এ প্রকল্প থেকে সরে যেতে সহযোগিতা করেছিল। এ দালালরা তখন মরনপন চেষ্টা করেছিল পদ্মা সেতুতে দূুরনীতি হয়েছে তা প্রমান করার জন্য। এ দালালরাই বিশ্ব ব্যাংককে এ প্রকল্প থেকে সরে যেতে কৃত্রিম ক্ষেত্র তৈরী করেছিল।
Podma bridge1
ওই সময়ে দেশবিরোধী মিথ্যাচার করে যারা দালাল হিসাবে টকশো গুলাতে বলতে বলতে মুখদিয়ে ফেনা বের করে ফেলত তাদের মধ্য সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, মাহবুব উল্লাহ, নুরুল কবীর, ড. পিয়াস করিম, সুজনের বদিউল আলম, আসিফ নজরুলসহ আরো অনেক নামকরা সাংবাদিক কিংবা সুশিল সমাজের লোক ছিল। আবার বিএনপি কিংবা বিএনপির আশি্বাদপুষ্ট লোকেরাও বিভিন্ন মিডিয়া কিংবা মিটিং এ একই রকমের মিথ্যাচার করত। ফলে দেশ বিদেশে বাংলাদেশের ইমেজ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
কানাডার আদালতের রায়ে বলা হয়েছে পদ্মা সেতুতে দূুরনীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাই আজ সময় এসেছে এ সমস্ত দালালদের যারা বিশ্বব্যাংকের কিংবা কোন রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তি বিশেষের পক্ষ নিয়ে দেশের শ্ত্রু হিসাবে কাজ করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের কাঠগড়ায় এনে বিচার করে জাতির সামনে তাদের মুখোশ উম্মোচন করা।
আশার বিষয় হল বর্তমান সরকার দেশীয় -আন্তর্জাতিক সমস্ত বাধা অতিক্রম করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এর নির্মান কাজ ৪০% শেষ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *