বর্ষীয়ান জননেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত আর নেই
নিউজ ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান জননেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আর বেচে নেই। আজ ভোর ৪টা ২৪ মিনিটে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেন। তার মৃত্যু সংবাদে আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার নির্বাচনী এলায় মানুষ শোকে নীরব হয়ে পড়েছে। ল্যাব এইড হাসপাতাল থেকে প্রথমে তার মরদেহ জিকাতলায় তার বাস ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে যাবার কথা রয়েছে। আগামীকাল সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে তার শেষকৃ্ত্য অনুষ্টিত হবে।
দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি স্বাস কষ্টে ভূগছিলেন। তার মৃত্যু হয়েছে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতার কারনে। ল্যাব এইডের সিসিউতে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতরাতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিউতে স্থানান্তরিত করা হয়। অনেক চেষ্টার পর ডাক্তারা একবার তার হার্টবিট ফিরে পেয়েছিলেন কিন্তু পরক্ষনেই আবার তার স্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর নেওয়ার কথা ছিল। অবশেষে শেষ নিঃস্বাস ত্যগ করেন ভোর ৪টা ২৪ মিনিটে।
তিনি ছিলেন একজন অভিজ্ঞ পালামেন্টারিয়ান এবং সুবক্তা। দেশবাসীর কাছে তিনি অত্যান্ত জনপ্রিয় তার স্পষ্টবাদিতার জন্য। তিনি সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ ফোরাম দলের প্রেসিডিয়ামের মেম্বার ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের সংবিধান রচিয়তাদের একজন ছিলেন। সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে তিনি সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে। ছাত্র জীবনেই তিনি বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। হাওরাঞ্চলের ‘জাল যার জলা তার’ আন্দোলনে দীর্ঘদিন তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রবীণ এ পার্লামেন্টারিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। নব্বই দশকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর আগে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও একতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সর্বশেষ তিনি আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশ এক প্রজ্ঞা রাজনীতিককে হারালো।