জমে উঠেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা
নিউজ ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
পহেলা ফেব্রুয়ারী বিকালে প্রধানমন্ত্রী অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদ্ভোধনের পরই জমে উঠেছে বাঙ্গালীর প্রানের এ মেলা। মানুষের আবেগ,বিবেক প্রানরস, আর বই আর বইয়ের সারি সবই যেন একাকার হয়ে আছে এ গ্রন্থমেলাতে। উদার ও সংস্কৃতিমনা মানুষের মিলনস্থল যেন এ বইমেলা।
প্রানের এ মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন মেলায় বিপুল লোকসমাগম ঘটে। বিভিন্ন বয়সের শিশু, ছেলে,মেয়ে, যুবা,বৃ্দ্ধ,নারী,পুরুষ সকলেই দল বেধে এ মেলাতে হাজির হয়। অনেক নতুন-পুরানো বন্ধুর সাথেও এখানে দেখা মিলে যায়। তবে সব শ্রেনীর মানুষ এখানে আসেনা। যারা বই ভালবাসেন, বই পড়তে ভালবাসেন এবং যারা মনে করেন প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে হলে বইয়ের কোন বিকল্প নাই তারাই এ মেলায় বেশী বেশী আসেন। আবার কেউ কেউ প্রতিদিনই আসেন। এ যেন লেখক, কবি, সাহিত্যিক, প্রকাশক কিংবা গভেষকদের মিলনমেলা।
এ মেলা বাংলা একাডেমীর চত্তর ছাড়িয়ে সোরওয়ারদী উদ্যানে বিশাল এলাকাকে সাজিয়েছে বই আর বই দিয়ে। টিএসসি থেকে মেলার মুলফটক পর্যন্ত ফুটপাত ও রাস্তায় দোকান না বসানোর কারনে বেশ সচ্ছন্দেই মেলায় প্রবেশ করা যাচ্ছে। বখাদেরও ভির নেই এ মেলাতে। হাটাচলার জন্য রয়েছে প্রসস্ত রাস্তা। এবারের মেলার স্টলগুলিও একটার থেকে আরেকটা বেশ ফাকা।
মেলায় মানুষ ঘুরে ফিরে বই দেখছে, পাতা উল্টাচ্ছে, পরখ করে দেখছে,এখনই সবাই বই কিনছে না। যারা আবার আসবেন তারা হয়ত পরে কিনবেন। এবারের মেলাতে সবকিছুতেই সৃঙ্খলার ছাপ আছে। তবে ঘোরতে ঘোরতে যখন ক্ষিধে পাবে অথবা কিছু ক্ষেতে চাবেন তখন একটু হিমসিম খাবেন। কারন মেলার ভিতরে রয়েছে একটিমাত্র খাবারের দোকান।
দাম জিজ্ঞেস না করে খাবেন না কিন্তু। কারন ৮ পিছ নরমাল ফুসকার দাম ১০০টাকা। বাকীগুলোর দাম আশা করি আর বলতে হবে না। ভুল করে কিছু খেলে পরে হয়ত বই কিনার টাকা নাও হতে পারে। সবকিছু ভালোর মধ্যে এটি মেলার একট মন্দদিক। মেলা কর্তৃপক্ষ এদিকে নজর দেওয়া উচিৎ।