২০১৭ সাল আসবে একটু দেরিতে
অনলাইন ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
‘লিপ ইয়ারে’ যেমন আরো একটি দিন যুক্ত হয় তেমনি ‘লিপ সেকেন্ডে’ যুক্ত হয় আরো একটি সেকেন্ড। এরকম একটি সেকেন্ড যুক্ত হচ্ছে এবছরে। ফলে এবার এক সেকেন্ড দেরি হবে নতুন বছর আসতে। এই সেকেন্ডটি যুক্ত হচ্ছে পৃথিবীর ঘূর্ণনে শ্লথ গতির কারণে পিছিয়ে পড়া পুষিয়ে দিতে।
নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে অতিরিক্ত এই এক সেকেন্ড সময় যোগ করা হবে। মধ্যরাতে, ঘড়িতে যখন ঠিক ২৩:৫৯:৬০ বাজবে, সেই সময়ে।আর সেজন্য ২০১৭ সাল আসতে একটু দেরি হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী যখন নিজে একবার ঘোরে তখন তার গতি কম বেশি হতে পারে। ফলে কোন একটি দিন অন্য একটির চাইতে বড় বা ছোট হতে পারে। আর সময়ের এই ব্যবধান যখন খুব বেশি বেড়ে যায়, তখনই যোগ করা হয় অতিরিক্ত এই একটি সেকেন্ড, যাতে সবকিছুর মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
২০১৫ সালের জুন মাসে এই ‘লিপ সেকেন্ড’ শেষবারের মতো হয়েছিলো। আর এনিয়ে এধরনের ঘটনা ঘটছে মোট ২৭ বার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্ট্যান্ডার্ড টাইম বা মান সময় এটমিক ক্লক থেকে পিছিয়ে পড়ার কারণে সময়ে এই পরিবর্তন আনতে হয়। সারা বিশ্বের সব ঘড়িতেই এই পরিবর্তন আনা হবে যাতে সময়ের একটা সমন্বয় ঘটে। পৃথিবী তার নিজের চারদিকে একবার ঘোরে চব্বিশ ঘণ্টায়। কিন্তু সেটি কখনো সামান্য দ্রুত আবার কখনো সামান্য শ্লথও হতে পারে। তবে কখন দ্রুত আর কখন শ্লথ হবে সেটা আগে থেকে বোঝা যায় না।
যুক্তরাজ্যে বিজ্ঞানী পিটার হুইবারলি বলেছেন, পৃথিবীর ঘূর্ণনের সাথে তাল মিলিয়ে সময় ধরে রাখতে এটমিক ক্লক কয়েক লক্ষ গুণে ভালো। তিনি বলেন, “পৃথিবীর সময় থেকে যেনো সময় হারিয়ে না যায় সেজন্যেই এই লিপ সেকেন্ড।” তিনি বলেন “যে ক্ষণটা হারিয়ে যায় সেটা খুব অল্প একটু সময়। যদি এই সময়টা ঠিক করা না হয় তাহলে এক ঘণ্টার ব্যবধান তৈরি হতে সময় লাগবে এক হাজার বছর,”। খবরঃবিবিসি বাংলা