মায়ানমারে সেনা উপস্থিতিতেই রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চলছেঃঅভিযোগ এইচআরডব্লিউ’র

অনলাইন ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) মায়ানমারে সেনা উপস্থিতিতেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন এবং তাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে দাবি করে ‘নতুন তথ্য–প্রমাণ’ প্রকাশ করেছে। তারা এই অভিযোগ তুলেছে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে। তবে রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মায়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির তদন্ত কমিশন বলেছে, সেনাবাহিনী আইনের বাইরে কিছু করেনি। তাদের কোনও দোষ নেই।
রাখাইন রাজ্যের ওয়া পাইক গ্রামের পাশে সেনাছাউনি অবস্থিত। রোহিঙ্গা–অধ্যুষিত গ্রামটি সাম্প্রতিক হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে এইচআরডব্লিউ বলছে, ওয়া পাইক গ্রামে হামলা ও অগ্নিসংযোগের সময় সেনাদের গাড়ি আশপাশ দিয়ে চলাচল করছিল। সেনা উপস্থিতি দেখা যাচ্ছিল গ্রামের পাশে । এটি থেকেই স্পষ্ট, তাদের উপস্থিতিতেই এই নৃশংস হামলা হয়।
এই মানবাধিকার সংগঠনটি এর আগে গত নভেম্বরের শেষভাগে স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে অভিযোগ করেছিল, রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে হাজারো রোহিঙ্গা বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হামলা করা হয়েছে। মায়ানমার সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, রোহিঙ্গারা নিজেরাই তাদের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণের জন্য। এইচআরডব্লিউর এশিয়া বিভাগের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, এক মাসে তিনশোর বেশি বাড়িঘর স্থানীয় বাসিন্দারা পুড়িয়ে দিয়েছে আর সেনাসদস্যরা তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছেন। তিনি বলেন, মায়ানমারের সরকারি কর্মকর্তারা কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ধরা পড়ে গেছেন। যারা হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিলেন এখন তাদের তা স্বীকার করে নেওয়া উচিত।
গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলায় পুলিশের ন’জন কর্মী নিহত হওয়ার পর রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা–অধ্যুষিত জেলাগুলিতে সেনা অভিযান শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে সেনাবাহিনীই রোহিঙ্গা নিধন করছে বলে। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৬ জন নিহত হয়েছে। বাস্তবে এ সংখা আরো অনেক বেশী। জাতিসংঘ জানিয়েছে প্রাণে বাঁচতে কমপক্ষে ২৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। বাংলাদেশ বহু আশ্রয়প্রার্থীকে ফিরিয়েও দিচ্ছে ।খবরঃবর্তমান