সৌদি আরব নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের ভেতরে দ্বন্দ্ব চলছে
অনলাইন ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন সৌদি আরবকে নিয়ে করা কিছু মন্তব্যকে ঘিরে হৈচৈ এর মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন। মি. জনসন অভিযোগ করে বলেছেন, দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে ‘প্রক্সি ওয়ার’ চালাচ্ছে, অর্থাৎ অন্যকে দিয়ে যুদ্ধ করাচ্ছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিট থেকেও মি. জনসনকে প্রকাশ্যে তিরস্কৃত করা হয়েছে ব্রিটেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র-দেশ সৌদি আরব সম্পর্কে এই মন্তব্য করার জন্য। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য ব্রিটিশ সরকারের বক্তব্য নয় বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এতে সরকারের অবস্থান প্রতিফলিত হয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বরিস জনসনের এই মন্তব্যের সমালোচনা হচ্ছে তার নিজের ও ক্ষমতাসীন দল কনসারভেটিভ দলের ভেতরেও।অনেকে মন্তব্য করেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে দায়িত্ব পালন করার সময় তার এধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। বাহরাইনে এক আঞ্চলিক সম্মেলনে বরিস জনসনের আজ শুক্রবার মূল প্রবন্ধ পাঠ করার কথা। রবিবার তার সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে।
বরিস জনসনের ওপর প্রধানমন্ত্রীর ‘পূর্ণ আস্থা’ রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। তবে মি. জনসনের এই মন্তব্য একেবারেই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক আরো জোরালো করার ব্যাপারে ব্রিটেনের আগ্রহের কথা মি. জনসন তার সফরকালে তুলে ধরবেন। ইয়েমেনে সৌদি আরবের বিতর্কিত সামরিক অভিযানে ব্রিটেনের সহযোগিতার ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করবেন।
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে সৌদি আরবকে আক্রমণ করে বরিস জনসন মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্র দ্যা গার্ডিয়ানে তার একটি ভিডিও পোস্ট করার পরেই সেটি আলোচনায় চলে আসে। ভিডিওতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়: “এরকম রাজনীতিক আছেন যারা ধর্মকে নিয়ে পাকায় এবং ধর্মকে অপব্যবহার করে। তাদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থেই তারা এটা করে থাকে।”
“এই গোটা অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্য) যতো বড় বড় সমস্যা আছে এটি তার একটি। আর সে কারণেই সেখানে প্রক্সি ওয়ার চলছে অর্থাৎ একজন আরেকজনকে দিয়ে যুদ্ধ করাচ্ছে। এর কারণ হলো এসব দেশে শক্তিশালী কোন নেতৃত্ব তৈরি হয়নি।”
অনেকেই আবার মি. জনসনের পক্ষ নিচ্ছেন। তারা বলছেন, তিনি বাস্তবতাকে তুলে ধরতে সত্য কথা বলছেন। আরেকজন নেতা সারাহ উলাস্টন বলেছেন, “প্রক্সি ওয়ার প্রসঙ্গে বরিস সত্য কথা বলেছেন। সেখানে জাতিগত সংঘাত বন্ধ করার জন্যে সব পক্ষের এগিয়ে আসার সময় হয়েছে।খবরঃবিবিসি