হলি আর্টিসানে হামলার অস্ত্র ভারতের মালদহে তৈ্রী,দাবী দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনাআইএর

অনলাইন ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে চালানো হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানি অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা এটি তৈরিতে সহায়তা করেছে।আজ শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১লা জুলাই হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় ২০ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিল বিদেশি নাগরিক। পরে সেখানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়।
 holi-artisan
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছয় সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে কলকাতা স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ)। আটকৃতদের একজন ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) গোয়েন্দাদের কাছে এ তথ্য জানিয়েছে। ঐ সন্ত্রাসী জানায়,পাকিস্তানের উপজাতীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকরা গোপনে মালদা সফর করে বিহারের মুঙ্গার থেকে আগত অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ।বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী জেলা মালদার একটি ঘাঁটিতে একে-২২ তৈরি করা হয়। এরপর এসব অস্ত্র বাংলাদেশে পাচার করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা দিয়ে।
ভারতের এনআইএ কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রশিক্ষণ প্রদানকারী পাকিস্তানিরা দারা আদম খেল সম্প্রদায়ের মানুষ। আর তাদের নিবাস পেশোয়ার ও কোহাটের মধ্যবর্তী একটি গ্রামে।এ সম্প্রদায়টির মানুষ আধুনিক অস্ত্র অনুরুপ অস্ত্র তৈরি করে দিয়ে থাকে।এনআইয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আমারা এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত নই। তবে তারা যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করছে তা পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনের ভাষা। সেখানেই এই গ্রাম অবস্থিত।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আগেই অভিযোগ করেছে, হলি আর্টিজানে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ভারত হয়ে এসেছে। কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম প্রধান মনিরুল ইসলাম এর সঙ্গে মুঙ্গারের সংযোগের কথা উল্লেখ করেছেন। এরপরই বিহার পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে।এসটিএফ কর্মকর্তা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে পুলিশকে দেয়া এক প্রজ্ঞাপনে বিহার পুলিশ নিশ্চিত করেছে, অস্ত্রগুলো তৈরি ও চোরাচালান প্রক্রিয়া মালদা ও পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য স্থানে হয়েছে।
এনআইএ’র ধারণা, গুলশান হামলা চালানোর একমাস আগে হামলাকালীদের কাছে একে-২২ ও পিস্তল  পৌঁছে দেয়া হয়। তবে সন্ত্রাসীদের কাছে একে-৪৭ জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও এটি তৈ্রী না করে কেন একে-২২ তৈরি করা হলো সেটি বুঝতে পারছেন না তারা। একে-২২ অস্ত্রটি ভারতে তেমন প্রচলিত নয় এবং এটি অনুরূপ বানানোও কঠিন।
এনআইএ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একে-২২ চালানো সহজ। এটি চালাতে অভিজ্ঞতারও তেমন দরকার হয় না। আর হলি আর্টিসানে হামলাকারীদের জন্য এটি ছিল একেবারে যথোপযুক্ত অস্ত্র।খবরঃটাইমস অফ ইন্ডিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published.