মসুলের জিহাদিদের অর্ধেকই ইউরোপের মুসলিম – ইইউ কমিশনার
অনলাইন ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
সোমবার থেকে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল থেকে ইসলামিক স্টেটকে উৎখাতের ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে ।
পশ্চিমা দেশগুলোর বিমান হামলার সাহায্য নিয়ে ৩৪,০০০ ইরাকি সৈন্য, শিয়া মিলিশিয়া এবং হাজার পাঁচেক কুর্দি যোদ্ধা চারদিক দিয়ে মসুলের দিকে এগুচ্ছে।কিন্তু এই অভিযানের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ইউরোপ।ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিশনার জুলিয়ান কিং জার্মান পত্রিকা ডি ভেলটকে দেয়া এক সাক্ষাৎকার বলেছেন, বিতাড়িত জিহাদিদের অনেকেই ইউরোপে ঢুকে পড়তে পারে এবং পালানো জিহাদিদের অল্প কিছু ঢুকলেও চরম হুমকি তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার এই উদ্বেগের কারণ রয়েছে। বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা যায়, মসুলে যে ৫০০০ এর মত আই এস যোদ্ধা রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ইউরোপীয় মুসলিম রয়েছে।জুলিয়ান কিং এর মতে, মসুলে ইউরোপীয় মুসলিম জিহাদিদের সংখ্যা প্রায় ২৫০০।তিনি বলেন, এরা সবাই হয়ত পালিয়ে ইউরোপে ঢুকতে পারবে না,অল্প কিছু ঢুকলেও বিপদ তৈরি হতে পারে।
প্রায় ১৫ লাখের মত বেসামরিক লোকের বসবাস মসুলে।জাতিসংঘ এবং অন্যান্য ত্রাণ সংস্থা সাবধান করছে, চলতি সামরিক অভিযানের ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহে ১০ লাখ লোক বাস্তচ্যুত হতে পারে। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ধারনা করছে, আই এস যোদ্ধারা বেসামরিক লোকজনকে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করার জন্য তাদেরকে আটকে রাখার চেষ্টা করবে।
অনেক যোদ্ধা হয়ত বেসামরিক লোকজনের ছদ্মবেশে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। আর এটাই ইউরোপের ভয়।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পিটার কুক মণে করেন, মসুলে আই এসের কয়েক হাজার যোদ্ধা পালানোর চেষ্টা করবে অথবা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।তবে কি করবে তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।