অনলাইন ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
আগুনে শিকার হল ভুবনেশ্বরের এসইউএম হাসপাতাল। সোমবার সন্ধ্যায় এই মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডে রাত পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অন্তত ১২০ জন। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ঘটনাটিকে অত্যন্ত ট্র্যাজিক বলে বর্ণনা করেছেন। কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পুলিশের ধারনা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। সোমবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ হাসপাতালের দোতলায় ডায়ালিসিস ইউনিটের আইসিইউ এবং অপারেশন থিয়েটারে প্রথম আগুন ধরে। আগুন লাগার পরপর এখানে প্রথমেই কাচের জানালাগুলি ভেঙে দেওয়া হয়।
২০১১ সালে কলিকাতার আমরিতে আগুনের চেেয়ও বেশি ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে ৮৫ জন রোগী-সহ মোট ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এখানে জানালাগুলি ভেঙে দেওয়ায় সেটা ঘটেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ভাঙা জানালা দিয়ে হাসপাতালের কর্মীরা অনেকে বাইরে লাফিয়েও পড়েন। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত সরানোর চেষ্টা করা হয়। তা সত্ত্বেও সকলকে বাঁচানো যায়নি। আহতদের মধ্যেও অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। সাতটি দমকল ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে।আক্রান্তদের দ্রুত বের করে আনার জন্য স্কাইলিফট-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
রোগী এবং আক্রান্তদের উদ্ধার করে ভুবনেশ্বরেই অন্যান্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অন্তত ৩-৪ জন রোগী শয্যাতেই মারা গিয়েছেন। হাসপাতালে মোট ১০০০ শয্যা রয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ৫০০টিতে রোগী ছিলেন বলে জানা যায়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা এই মর্মান্তিক ঘটনায় ওড়িশাকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। শোক জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সূ্ত্রঃআনন্দ বাজার পত্রিকা