সার্ক সম্মেলনে যাচ্ছে না বাংলাদেশ, স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা
পাকিস্তানের সাথে সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশের নানা টানাপোরনে অবশেষে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত হতে যাচ্ছে। ভারত কাশ্মিরে সেনা ব্রিগেডে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উত্তেজনার জের ধরে ইসলামাবাদে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছে না । বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান এদেশের মানষের আকাঙখার বিরুদ্ধে। তাই বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানের সাম্পতিক কর্মকান্ডে বাংলাদেশ সরকার ক্রুদ্ধ।ফলে একই সঙ্গে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও ভুটানও এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না। আর এ কারনে ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈ্রী হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে যেকোন সময় সার্ক সম্মেলন স্থগিতের ঘোষণা আসতে পারে বলে ।
উল্লেখ্য আগামী ৯ ও ১০ নভেম্বর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এদিকে বাংলাদেশও সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশের পক্ষে এ সিদ্ধান্তের কথা সার্কের বর্তমান সভাপতি দেশ নেপালকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় কার্যকর করা নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে পাকিস্তানের বারবার হস্তক্ষেপের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তানে আসন্ন সম্মেলনে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ টুইট করেছেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সন্ত্রাস এক সঙ্গে চলতে পারে না। তাই ভারতের পক্ষ থেকে সার্ক শীর্ষ সুম্মেলনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সার্কের সভাপতি দেশ নেপালকে ভারত জানিয়েছে এ অঞ্চলে আন্ত:সীমান্ত সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে যাওয়ায় এবং সদস্য দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একটি দেশের হস্তক্ষেপ বেড়ে যাওয়ায় এমন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে যা নভেম্বরে ইসলামাবাদে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য সহায়ক নয়।
আঞ্চলিক সহযোগিতা, কানেকটিভিটি ও যোগাযোগের ব্যাপারে ভারত তার অঙ্গীকারের ব্যাপারে অবিচল আছে। ভারত বিশ্বাস করে, শুধু সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশেই এসব এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। ভারতের পক্ষে ইসলামাবাদে প্রস্তাবিত শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে। বিকাশ আরও বলেন, ‘ সার্কের আরও কয়েকটি দেশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তাদের আপত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছে আমরা তা বুঝতে পারছি।’তবে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য সার্ক সনদ অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার আট-জাতির আঞ্চলিক জোটের কোনো সদস্য দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান না গেলে শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়।