সাকিব আর রাসেল ঝড়ে ফাইনালে জ্যামাইকা
স্পোর্টস ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সাকিব ও রাসেল ঝড়ে ফাইনালে উঠল জ্যামাইকা তালাওয়াস।
শনিবার ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে আন্দ্রে রাসেলের শতক আর সাকিবের বোলিং নৈপুণ্যে সিপিএলের ফাইনালে পৌঁছেছে জ্যামাইকা তালাওয়াস । ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ২০ রানে জিতেছে তারা।
ফাইনালে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সাকিবরা খেলবেন গায়না আমাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে, যাদের কাছে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরেছিল জ্যামাইকা।এদিন ২৩ বলে ১৯ রান করেন সাকিব। রাসেল ক্রিজে আসার পর তাকে স্ট্রাইক দেয়ার দিকেই ছিল তার মনোযোগ।সাকিব ২ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
সাকিব যখন বোলিংয়ে আসেন তখন ত্রিনবাগোর প্রয়োজন ২৪ বলে ৬৩ রান, হাতে ছিল ৮ উইকেট। প্রথম ওভারেই ১২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন এই বাঁহাতি স্পিনার।পরের ওভারে সাকিব যখন ফিরেন তখন ত্রিনবাগোর প্রয়োজন ২ ওভারে ৪০ রান। সেই ওভারে বিপজ্জনক হাশিম আমলা, এসেই ছক্কা হাঁকানো সুনিল নারাইন আর অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভোকে ফিরিয়ে দেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। তার এই ওভারে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় জ্যামাইকার।
শনিবার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৯৫ রান করে জ্যামাইকা।২৬ বলে ৩৫ রান তুলে ফিরে যান ক্রিস গেইল । প্রথম চার ব্যাটসম্যানের আর কেউ তেমন কিছু করতে পারেননি। দশম ওভারে ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারানো দলটিকে দুইশ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব রাসেলের।এই অলরাউন্ডার ক্রিজে এসেই ত্রিনবাগোর বোলারদের ওপর চড়াও হন।তবে ৮.৫ ওভারের জুটিতে তাকে স্ট্রাইক দিয়ে যাওয়া সাকিবের অবদানও কম নয়।১০১ রানের দারুণ জুটি গড়ে ফিরে যান সাকিব। তাণ্ডব চালানো রাসেল ৪৪ বলে ১১টি ছক্কা আর তিনটি চারে করেন ১০০ রান।
ত্রিনবাগোর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় দলটির স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১৮ রান। আবার খেলা শুরু হলে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে তাদের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২ ওভারে ১৩০ রান, অর্থাৎ শেষ ৯ ওভারে ১১২ রান। কঠিন সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি ত্রিনবাগো। আমলার ৩৭ আর কলিন মানরোর ৩৮ দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
সাকিব যখন বোলিংয়ে আসেন তখন ত্রিনবাগোর প্রয়োজন ৮ উইকেটে ২৪ বলে ৬৩ রান। প্রথম ওভারে ১২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন সাকিব আল হাসান।পরের ওভারে সাকিব যখন ফিরেন তখন ত্রিনবাগোর প্রয়োজন ২ ওভারে ৪০ রান। সেই ওভারের প্রথম বলে চার হাঁকান হাশিম আমলা। পরের বলেই সাকিবের চাতুর্যে স্টাম্পড হয়ে ফিরেন তিনি। এসেই ছক্কা হাঁকান সুনিল নারাইন। পরের বলে একই চেষ্টা করতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি।পঞ্চম বলে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ১ রান নিলে স্ট্রাইকে আসেন ডোয়াইন ব্রাভো। ছক্কা মারতে যেয়ে লংঅনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। এই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত ত্রিনিবাগোর ইনিংস থেমে যায় ১২ ওভারে ৭ উইকেটে ১১০ রানে ।