গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতি

নিউজ ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতি
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতিতে ৪ উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
আজ রবিবারও ঘাঘট নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৪ সে: মি.  উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি ৫৮ সে. মি.  উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ আছে। এপর্যন্ত এক শিশুসহ চারজন বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে।  সড়ক ও ব্রিজ ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পরেছে।
এদিকে গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের পৌর এলাকার কুটিপাড়া, ডেভিডকোম্পানীপাড়া ও গোদারহাটের ৮টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাঁধ দিয়ে  পানি বের হছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং লোকজন বাঁধ পাহারা দিচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান,  এ পর্যন্ত জেলার বন্যা কবলিত সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের ২৩৪টি গ্রামের দুই লাখ ৬১ হাজার ৬৭৩ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। সরকারিভাবে জেলার পানিবন্দী মানুষদের জন্য ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলায় ৯৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তিন হাজার ৪২টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ ও এক হাজার ৬৫৮টি ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। প্রায় ২০০ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক বিধ্বস্ত ও এক হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, গাইবান্ধার বন্যা কবলিত এলাকায় ১২০টি মেডিকেল টিম স্বাস্থ্যসেবায় কর্মরত রয়েছে।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় জেলার ২৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার জানান, ২৫টি মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে পাঠদান বন্ধ আছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আ কা ম রুহুল আমিন জানান, বন্যায় তিন হাজার চার শত ৪০ হেক্টর জমির  বীজতলা ও শাকসবজি নিমজ্জিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.