সালমান এফ রহমানের ধানমন্ডির বাড়ি নিলামে উঠছে
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় সালমান এফ রহমান এবং তার বড় ভাই সোহেল এফ রহমানের মালিকানাধীন ধানমন্ডির ওই বাড়ি বন্ধকী সম্পত্তি হিসাবে নিলাম করে টাকা আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক।জিএমজি এয়ারলাইন্সের নামে নেওয়া ঋন পরিশোধ না করায় বাড়িটি নিলাম করেছে সোনালী ব্যাংক।
গত ১২ জুলাই দৈনিক ইত্তেফাকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছরের ৩০ মে পর্যন্ত জিএমজির কাছে ব্যাংকের মোট পাওনা ২২৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা।ওই টাকা ফেরত না দেওয়ায় ৩ আগস্ট ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে ওই বাড়ির নিলাম হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর প্লটে (নতুন) ১ বিঘা জমি ও তার উপরের ভবনসহ সব স্থাপনা এই নিলামে উঠবে।
সালমান এফ রহমান অবশ্য ৩ অগাস্টের আগেই সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার বিষয়ে আশাবাদী।তিনি আরও জানান “আমরা আগেই এ বিষয়ে হাই কোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে রেখেছি। সে কারণে ৩ অগাস্ট নিলাম হওয়ার কোনো কারণ নেই। আর তার আগেই আমরা বিষয়টি সেটেল করে ফেলব।”
তবে সোনালী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদার মো. আব্দুর রব বলেছেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রফার প্রস্তাব নিয়ে কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।“আমরা নিলামের জন্য যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম সে অনুযায়ীই নিলাম হবে। ৩ অগাস্ট অবশ্যই নিলাম হবে”।সালমান রহমান হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ পাওয়ার যে দাবি করেছেন, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সোনালী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, স্থগিতাদেশের কথা তারাও লোক মুখে শুনেছেন।কিন্তু কোন বিষয়ে, কিসের স্টে অর্ডার নিয়েছেন, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত হাই কোর্টের কোনো কপি বা লিখিত কিছু আমাদের কাছে আসেনি।সে কারণেই বলছি, নিলাম অবশ্যই হবে।
২০০৬ সালে জিএমজির নামে যখন সোনালী ব্যাংক থেকে ওই ঋণ নেওয়া হয়, তখন এর ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬৫ কোটি টাকা। কিন্তু এখন সুদ ও ঋণের স্থিতি বেড়ে তা ২২৮ কোটি ১৯ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
দিদার বলেন, নিলাম ডাকার আগে পাওনা আদায়ে সব ধরনের পদক্ষেপই তারা নিয়েছেন। চূড়ান্ত তাগাদা দেওয়া, উকিল নোটিস পাঠানোসহ নিয়ম অনুযায়ী সবই করা হয়েছে। তারপরও টাকা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত বন্ধকী সম্পত্তি নিলাম করে টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত নিতে তারা বাধ্য হয়েছেন।যদি নিলামে কেউ অংশ না নেন, অর্থাৎ বাড়ি বিক্রি না হয়; কিংবা বাড়ি বিক্রি করে যদি ঋণের পুরো টাকা পাওয়া না যায়, তাহলে অর্থঋণ আদালতে মামলা করার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ধানমন্ডির ওই বাড়ির আশপাশে বেক্সিমকো গ্রুপের বেশ কয়েকটি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ফ্যাশন ব্র্যান্ড ইয়েলোর শো রুম রয়েছে।সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের অন্যতম বড় ব্যবসায়ী গ্রুপ বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান।