তামিমসহ ৫ জেএমবি ভারতে : টাইমস অব ইন্ডিয়া

অনলাইন ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরায় জঙ্গি হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে সন্দেহভাজন তামিম আহমেদ চৌধুরী সহ ৫ জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর সক্রিয় সদস্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
তামিমসহ অন্যান্য জঙ্গি

তামিমসহ অন্যান্য জঙ্গি

সম্প্রতি র‌্যাবের পক্ষ থেকে ভারতকে দেয়া সন্ত্রাসীদের তালিকায় এই পাঁচজনের নাম রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারত সফররত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নয়াদিল্লিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এসব জঙ্গির বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও দেশটিতে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য নুরুল হক মণ্ডল ওরফে নাইমকে ফেরত দেয়ার অনুরোধ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিন দিন আগে ২০১১ সাল থেকে নিখোঁজ বাংলাদেশিদের সংশোধিত ৬৮ জনের একটি তালিকা তৈরি করে র‌্যাব। এদের সবার বয়স ১৫ থেকে ৪০ এর মধ্যে। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন গুলশান হামলার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং মেঘালয়ে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। পত্রিকার খবরে আরো বলা হয়, দুই মাস আগে আসাম পুলিশ রাজ্যের চিরাং একটি জেএমবি ঘাটির সন্ধান পায় যেখানে স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, পাঁচ সন্দেহভাজনের মধ্যে সিলেটে জন্মগ্রহণকারী কানাডীয় নাগরিক তামিম চৌধুরী অন্যতম। তাকে গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তামিম চৌধুরী আবু ইব্রাহিম আল হানিফ চৌধুরী নামেও পরিচিত।খবরে আরও বলা হয়, ২০১৬ সালে আইএসের ম্যাগাজিন দাবিক-এ তার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১৩ সালে অবশ্য তিনি কানাডা থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তাকে আইএসের বাংলাদেশ সমন্বয়ক হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।
সন্দেহভাজনের তালিকায় থাকা আরেকজন নাজিবুল্লাহ আনসারি। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। মালয়েশিয়ায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। গত বছর আইএসে যোগ দিতে ইরাকে যাওয়ার কথা জানিয়ে ভাইকে চিঠি লেখার পর চট্টগ্রাম পুলিশ স্টেশনে তাকে নিখোঁজ দেখিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।
জুনুন শিকদার নামে অপর এক সন্দেহভাজনের বাড়ি কুমিল্লায়। রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০১৩ সালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। পরে জামিন নিয়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান জুনুন। ২০০৯ সালেও একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।
এক বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন জাপানের এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি তথা সুজিত দেবনাথ। পরে তার বাবা জনার্দন দেবনাথ নবীনগরে একটি জিডি করেন।
এ ছাড়া এটিএম তাজউদ্দিন নামের আরেক সন্দেহভাজন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনারত অবস্থায় নিখোঁজ হন। চলতি মাসের শুরুর দিকে লক্ষ্মীপুর সদর পুলিশ স্টেশনে তাকেও নিখোঁজ দেখিয়ে জিডি করা হয়। খবরঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *