জামালপুরে বন্যায় রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ৫ লাখ লোক পানিবন্দি ২ জনের মৃত্যু
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রেললাইন
যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ১১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এদিকে দুরমুঠ-রেলস্টেশন থেকে ইসলামপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত রেল লাইন বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে গত শুক্রবার রাত ৮টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ শনিবার সকালে জামালপুর-সরিষাবাড়ি রেল লাইন কেন্দুয়া কালিবাড়ি এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে পানি হু-হু করে প্রবাহিত হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে রেল লাইন।
এদিকে জামালপুরের ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী, বকশীগঞ্জ এবং মাদারগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৬৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৪০টি ইউনিয়নের শতাধীক গ্রামসহ ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ পৌরসভা পানিতে তলিয়ে যায়।ফলে প্রায় ৫ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।চলছে ত্রাণের জন্য হাহাকার।

বন্যাকবলিত এলাকা
এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।নিহতরা হলেন- ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নে শ্রী সুদির নবদাসের স্ত্রী কমলিনী (৩৫), একই উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের মাহমুদ ফকিরের স্ত্রী হাওয়া খাতুন (৬০)। এ পর্যন্ত বন্যার পানিতে ডুবে গত ক’দিনে জেলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ১১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভয়াবহ বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। চারিদিকে বন্যার অথৈ পানিতে স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। বন্যার কারণে রান্না করার সুযোগ না থাকায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে বানভাসী মানুষ।

বন্যাকবলিত এলাকা
বন্যা কবলিত এলাকায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানিসহ গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এসব বানভাসী মানুষ উচু বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাস্তার ওপর আশ্রয় নিয়েছে। খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। এদিকে বন্যার কারণে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছে। দুদিন আগে মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি এলাকায় মজনু (৩০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বিষাত্ত সাপের কামড়ে।