বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কোথায় চলে গেছে এরা। এদের চেহারাটা প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে উন্মোচিত হচ্ছে। বেগম জিয়ার ঐক্যের ডাক ভাওতাবাজি ছাড়া কিছু না। টোটালি স্ট্যান্ডবাজি। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে, দেশ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে শেখ হাসিনার ডাকে। তখন নিজের চামড়া বাচানোর জন্য ঐক্যের কথা বলছেন। ভাওতাবাজি, ভণ্ডামি ছাড়া কিছুই না।”
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ১৪ দলের এই মুখপাত্র।তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা সম্ভব। গতকাল কল্যাণপুরে সফল অভিযান পরিচালনা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।কর্মসূচির মধ্যে ৩০ জুলাই মাগুড়া ও ১১ অগাস্ট দিনাজপুরে এবং ৩১ জুলাই ঢাকা মহানগর ১৪ দলের উদ্যোগে মহানগর নাট্যমঞ্চে প্রতিরোধ সমাবেশ করা হবে। এছাড়া শোকের মাস উপলক্ষে পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করবে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শরিক দলগুলো।
এর মধ্যে ১৩ অগাস্ট যৌথভাবে শোক সভার আয়োজন করা হবে। ১৫ অগাস্ট প্রথম প্রহরে রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা। এর আগে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলজাসদের এক অংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া এবং অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, তরিকত ফেডারেশন মহাসচিব এম এ আউয়াল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য সুজিত রায় নন্দী।