সাজা শেষে রাজীব হত্যার আসামি সাদমান ফের গ্রেপ্তার

বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ফটক থেকে গ্রেপ্তারের পর তাকে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান  জানান।

 ২০১৩ সালে  একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শাহবাগ আন্দোলন শুরুর দশম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পল্লবীর নিজ বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার রাজীবকে।

ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার

ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার

২০১৩সালের অগাস্ট মাসে আলোচিত ওই হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাদমান, যে বেসরকারিবিশ্ববিদালয়টি ফের আলোচনায় এসেছে গুলশানও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর।নজিরবিহীন ওই হামলায় নিহত দুই জঙ্গি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র; যারা কয়েক মাস নিখোঁজ ছিলেন বলে পরিবারের ভাষ্য।গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিখোঁজ ১০ জনের যে তালিকা দেয় তাতেও রয়েছে রাজধানীর নামকরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নাম।

পেশায় স্থপতি রাজীব ধর্মান্ধতা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতাকারীদের বিপক্ষে ব্লগে লিখতেন।তাকে হত্যার ঘটনায় দায়ের মামলা গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রায় দেয় ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

এতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত মুফতি মো. জসীমউদ্দিন রাহমানী ছাড়া সাত আসামির সবাই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।রায়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও তখনকার ছাত্র ফয়সাল বিন নাঈম দীপকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।এছাড়া মাকসুদুল হাসান অনিকের যাবজ্জীবন, এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং সাদমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।পল্লবী থানার একটি হত্যা মামলার এই আসামি গত বছর শেষে দিকে কাশিমপুর কারাগারে আসেন। বৃহস্পতিবার সাজার মেয়াদ শেষ হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সাদমানকে জেল গেট থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে তাকে কি অভিযোগে নতুন করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *