চীনে টর্নেডোয় ৯৮ জনের মৃত্যু
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জিয়াংসুতে টর্নেডো ও শিলাবৃষ্টিতে অন্ততপক্ষে ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন শত শত মানুষ।
বৃহস্পতিবারের এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রদেশটির বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “প্রবল বৃষ্টি, শিলাঝড় ও টর্নেডোতে ইয়ানচেং শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, অনেক ঘরবাড়ির বিধ্বস্ত হয়েছে।”
অনলাইন গণমাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে বিধ্বস্ত বাড়ি ও উল্টে যাওয়া গাড়িতে আহত মানুষজনকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে রাস্তায় পড়ে আছে।
ঘন্টায় ৭৮ মাইল বেগে ঝড়োবাতাস প্রদেশটির বেশ কয়েকটি শহরে তাণ্ডব চালিয়ে যায়।
ইয়ানচেং শহরে টর্নেডোয় উপড়ে যাওয়া একটি গাছ সরিয়ে নিচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: রয়টার্স
জিয়াংসুতে টর্নেডোয় বিধ্বস্ত হয় ঘরবাড়ি। ছবি: রয়টার্স
রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত চায়না ন্যাশনাল রেডিও শুক্রবার তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, জিয়াংসুতে টর্নেডো ও শিলাবৃষ্টিতে ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অপর ৮০০ জন আহত হয়েছেন।এই দুর্যোগ নিয়ে প্রাদেশিক পর্যায়ের বৈঠকের সূত্রে রেডিওটি এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করেছে।এরআগে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে মৃতের সংখ্যা ৭৮ ও আহতের সংখ্যা ৫০০ জন বলে প্রচার করা হয়েছিল।অনলাইনে পোস্ট করা ছবিগুলোতে দেখা যায়, বিধ্বস্ত বাড়ি-ঘরের সামনে মানুষেরা বসে আছেন। গাড়ি উল্টে আছে, গাছ উপড়ে গেছে এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে।বর্তমানে উজবেকিস্তান সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতার ঘোষণা দেন। তিনি চীনের মন্ত্রিসভাকে ত্রাণ তৎপরতা পর্যবেক্ষণে একটি দল পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং কর্তৃপক্ষকে তল্লাশি ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার নির্দেশ দেন।এর আগে চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে দক্ষিণ চীনে মারাত্মক বন্যায় অন্ততপক্ষে ২২ জনের মৃত্যু ও ২০ জন নিখোঁজ হন।