সায়েদাবাদের বাস ধর্মঘ্ট স্থগিত
এর ফলে মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাজধানীর সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়েছে।সকাল থেকে বাস বন্ধের কারণে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট অঞ্চলগামী যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন।
ওদুদ নয়ন বলেন, “আমাদের দাবি ছিল, আমাদের অফিস আমাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া এবং ইউনিয়ন হাইজ্যাকের যে চক্রান্ত চলছে তা বন্ধ করা। মাননীয় স্বরাষ্ট্র এবং সড়ক পরিবহনমন্ত্রী উভয়ই আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে।
“এ কারণে এবং যাত্রী সাধারণের কথা বিবেচনা করে আমরা ধর্মঘট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সায়েদাবাদ টার্মিনালে সকাল থেকে ছিল বাসের জন্য এমন অপেক্ষা
এর পরপরই সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন জেলার বাস ছাড়া শুরু হয় বলে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান।“বিষয়টির একটি সুরাহা হয়েছে। টার্মিনালে আবার বাস চলাচল শুরু হয়েছে।”ইউনিক পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল হক বলেন, “আমরা টিকেট বিক্রি শুরু করে দিয়েছি।”গুলিস্তানে বঙ্গভবনের পূর্ব পাশের ওই কার্যালয় নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মারামারিতে সোমবার মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
পুরনো সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি-৪৯৪) নিয়ন্ত্রণে ছিল গুলিস্তানে বঙ্গভবনের পূর্ব পাশের ইউনিয়ন কার্যালয়টি। রোববার সফর আলী নেতৃত্বাধীন ঢাকার ইউনিয়ন ওই কার্যালয়টি দখলে নেয়।
সোমবার দুপুরে সংঘর্ষের পর রাতে দুই দফা বৈঠক হলেও কোনো সমঝোতা না হওয়ায় রাতে সায়েদাবাদ থেকে দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
ওদুদ নয়ন বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে ওই কার্যালয়টি তারা ব্যবহার করে আসছেন। এখন হুট করে নতুন গজিয়ে ওঠা একটি সংগঠন তার দখল নিয়েছে।
“ফেডারেশন থেকে আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি, কোনো রকম নির্দেশনাও আসেনি। হঠাৎ করে একটি সংগঠনের নামধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের অফিস দখল করল, ভাংচুর ও লুটপাট করল।”বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন দুটোই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সংগঠন, যার সভাপতি নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী ঢাকা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।তিনি বলেন, “২০০৬ সালের শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের জাতীয়ভিত্তিক কোনো ইউনিয়ন থাকতে পারবে না। এর ফলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকারিতা ওখানেই শেষ হয়ে গেছে।
“যে অফিসটি নিয়ে বিরোধ, সেটি ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের। আদালতের মাধ্যমেই এটি মীমাংসিত।”ঢাকা শ্রমিক ইউনিয়নের দাবির আইনি ভিত্তির বিষয়ে ওদুদ নয়ন বলেন, “আদালত থেকে আমাদের কাছে কোনো রকম নির্দেশনা আসেনি। যারা দখল করেছে, তারাও কোনো কাগজপত্র দেখায়নি।”