ঢাকার দুই মেয়রকে মন্ত্রীর মর্যাদা
ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দিয়েছে সরকার। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র পাচ্ছেন উপ-মন্ত্রীর পদমর্যাদা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সরকারের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেছেন, অন্য নগরীগুলোর মেয়রদের কোনো পদমর্যাদা দেওয়া হয়নি।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ঢাকার দুই মেয়রকে মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জের মেয়রকে উপমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। অন্য সিটি করপোরেশনগুলোর মেয়রদের কোনো পদমর্যাদা দেওয়া হয়নি।”
সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক এবং দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী উপমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন।
এই তিনজনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত।
আগে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র মন্ত্রী এবং অন্য সিটি করপোরেশনের মেয়ররা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মেয়রদের কোনো পদমর্যাদা দেওয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও বেশির ভাগ সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হলে তাদের পদমর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি স্তিমিত হয়ে পড়ে।
তার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, খুলনা, রাজশাহী, বরিশালে ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়ররা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।
চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও রংপুরের মেয়রদের সাংসদদের ওপরের মর্যাদা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর তৎকালীন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানককে চিঠি দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
কিন্তু বিভিন্ন সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক চিঠিতে জানায়, সিটি করপোরেশনের মেয়রদের মাসিক সম্মানী ভাতা ও অন্যান্য সুবিধার সঙ্গে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রীর পদমর্যাদার কোনো সম্পর্ক আছে বলে প্রতীয়মান হয় না।